সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ডার্লিং’ শব্দ যৌন ইঙ্গিতমূলক। কোনও অচেনা মহিলার ক্ষেত্রে এই শব্দ ব্যবহার অপমানের শামিল। তাই যেকোনও মহিলাকে উদ্দেশ্য করে একথা বলা যায় না। হতে পারে সাজাও। একটি মামলায় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সার্কিট বেঞ্চের।
২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের এক মহিলা পুলিশকর্মী যুবকের বাড়িতে তল্লাশি করতে যান। ওই যুবক মহিলাকে উদ্দেশ্য করে ‘ডার্লিং’ শব্দটি ব্যবহার করেন। “কী ডার্লিং, চালান করতে এসেছো নাকি?”, মহিলা কনস্টেবলকে বলেন তিনি। এমন মন্তব্যের জেরে নিম্ন আদালতে মামলা দায়ের হয়। ৩ মাসের কারাদণ্ডও হয় তার। এর পরই মামলায় জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়। পোর্ট ব্লেয়ারে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলা ওঠে।
[আরও পড়ুন: আসানসোলে প্রার্থী হতে নারাজ ‘ললিপপ’ গায়ক পবন সিং, মুখ পুড়ল বিজেপির!]
বিচারপতি সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্ত যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মহিলাকে ‘ডার্লিং’ বলে। এই শব্দ ব্যবহার খানিকটা যৌন ইঙ্গিতের শামিলই ছিল। তা যেন কোনও মহিলার কাছে অপমানজনক, তা আলাদা করে বলাই বাহুল্য। হাই কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পর যুবকের সাজা কমে এক মাস হয়েছে। ভবিষ্যতে ‘ডার্লিং’ শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কও থাকতে বলা হয়েছে।