গোবিন্দ রায়: ৪৬ দিন পেরিয়েছে। এখনও পুলিশের খাতায় ফেরার শাহজাহান শেখ। এবার তাঁকে হাই কোর্টে তলবের ভাবনা প্রধান বিচারপতির। ওইদিন আদালতে হাজিরা দিতে হবে রাজ্য পুলিশ, ইডি এবং সিবিআইকে। প্রধান বিচারপতির যুক্তি, যাকে কেন্দ্র করে এত ঘটনা তাঁকে সমর্থন করতে পারে না রাজ্য। পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা প্রধান বিচারপতির।
৫ জানুয়ারি শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। সেখানেই অশান্তির সূত্রপাত। জল গড়িয়েছে বহুদূর। একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ৪৬ পরও গ্রেপ্তার করা যায়নি শাহজাহানকে। একাধিকবার ইডি তলব করলেও তাতে সাড়া দেননি শাহজাহান। এদিকে শাহজাহান ও তাঁর সাগরেদদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মহিলারা। অশান্তি চরমে উঠলেও বেপাত্তা শাহজাহান। এবার তৃণমূলের এই দাপুটে নেতাকে আদালতে তলবের ভাবনা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: ‘কাঞ্চন আমাকে ভালো সামলাবে’, ৫৩-র তারকা বিধায়ককে বিয়ে করেই ট্রোলের জবাব শ্রীময়ীর]
প্রধান বিচারপতি বলেন, “যাকে কেন্দ্র করে এত ঘটনা রাজ্য তাঁকে সমর্থন করতে পারে না। উনি নির্বাচিত জন প্রতিনিধি, মানুষের প্রতি তিনি কোনও কর্তব্য পালন করেছেন বলে মনে হয় না।” এর পর পুলিশকে ভর্ৎসনা করেন তিনি। বলেন, যদি পুলিশ শাহজাহানকে ধরতে না পারে তাহলে মনে করতে হবে তিনি রাজ্যের বাইরে। কিন্তু পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিতে পারে না। প্রধান বিচারপতির কথায়, “মূল অভিযুক্ত যদি ঘুরে বেড়ান তাহলে ১৪৪ ধারা জারি করে কী হবে? সাধারণ মানুষের হয়রানি বাড়বে।”
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতি বলেন, “১৯ দিনের বেশি হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনও যার কারণে সমস্যার সূত্রপাত তাঁকে ধরতে পারল না পুলিশ! তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন! আমি বিস্মিত। জমি দখলের অভিযোগ শোনার জন্য রাজ্য আলাদা ব্যবস্থা করেছে। তাই প্রাথমিকভাবে আদালত মনে করছে, এলাকাবাসীর অভিযোগের সত্যতা আছে।” এদিন বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় রাজ্য, CBI, ED-সহ সবপক্ষকে নোটিস আদালতের। আগামী সোমবার শুনানি।