গোবিন্দ রায়, কলকাতা: সমবায় দুর্নীতির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। খাদ্যপণ্য সরবরাহের কাজে যুক্ত গাইঘাটা থানা এলাকার কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে একটি সমবায় সমিতি। সম্প্রতি এই সমবায় সমিতিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলাতেই এবার সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
মঙ্গলবার এই সমবায় দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। মামলায় রাজ্য পুলিশের ডিজিকে (DG) সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জানিয়েছেন, আপাতত ডিজিকে সিট গঠন করে তাঁর সদস্যদের নাম আদালতকে জানাতে হবে। ১২ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি। তার মধ্যেই সদস্যদের নাম আদালতে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (High Court)। পাশাপাশি, আদালতের অনুমতি ছাড়া মামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে ‘রেমাল’, ষষ্ঠ দফা ভোটে ঝড় সামলাতে কী পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের?]
এদিন মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী সন্দীপন দাস জানান, সাধারণত ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া ও রাজ্য খাদ্য দপ্তরের থেকে পণ্য নিয়ে এই সমবায় রেজিস্ট্রার্ড ক্রেতাদের সরবরাহ করত। কিন্তু অভিযোগ, ২০১৬ সাল থেকে ওই সমতিতে কোনও অডিট হয় না। মামলাকারী সুখেন্দু দাস ওই কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করতেন। তাঁর দাবি, হঠাৎ তিনি জানতে পারেন তাঁর প্যান কার্ড ব্যবহার করে ব্যাঙ্কে ৯৪ লক্ষ টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিট খোলা হয়েছে। আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।
[আরও পড়ুন: ‘যত অত্যাচার করবেন, দলে ততই বাড়বে শুভেন্দুর গুরুত্ব’, পুলিশি হানা নিয়ে তৃণমূলকে শাহী চ্যালেঞ্জ]
এরপর বিষয়টি কো-অপারেটিভ সোসাইটির কর্তাদের বিষয়টি জানানোর পর ব্যাঙ্কে থাকা ফিক্সড ডিপোজিটের প্যান নম্বর বদলের আবেদন জানায় সোসাইটি। এবং গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে মামলাকারীর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করা হয় বলে দাবি মামলাকারীর আইনজীবীর। এর সঙ্গে রেশন দুর্নীতির যোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হয় হয়েছে মামলায়।