শুভঙ্কর বসু: গত দু’বছরের স্কুলের বকেয়া ফি’র ন্যূনতম ৫০ শতাংশ মিটিয়ে দিতে অভিভাবকদের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। এ জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এই টাকা মেটাতে হবে। এর অন্যথা হলে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে যে সমস্ত পড়ুয়া মাধ্যমিক বা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, তাদের শংসাপত্র বোর্ডের তরফে ইস্যু না করারও তার নির্দেশও দিয়েছে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
এর আগে অভিভাবকদের বকেয়া ফি’র ৮০ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। কিন্তু অভিভাবকদের একাংশ সেই নির্দেশ মানছেন না বলে অভিযোগ জানায় স্কুলগুলি। আদালতের নির্দেশকে না মানা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। অভিযোগ, নিয়মিত সব পড়ুয়াকে অনলাইন ক্লাস করানো হলেও কোটি টাকার উপর ফি বাকি রয়েছে। অভিভাবকদের থেকে ফি না পাওয়ায় স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন দিতেও সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করেছে স্কুলগুলি। পাশাপাশি স্কুল গুলির বক্তব্য, করোনার (Corona Virus) সুযোগ নিয়ে অনেকে ইচ্ছাকৃত বেতন বকেয়া রেখেছেন।
[আরও পড়ুন: ট্যাঙ্কার মালিকদের ধর্মঘটে জ্বালানিশূন্য ৬ জেলার বহু Petrol Pump, ভোগান্তি কলকাতাতেও]
আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে সব ক্ষেত্রে অভিভাবকরা সরকারি চাকরি করেন এবং আর্থিকভাবে স্বচ্ছল, তাঁরাও ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের বেতন দিচ্ছেন না। এমন প্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগপূর্ণ এবং দুঃখজনক। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতের নির্দেশ না মানা হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াকে অনলাইন ক্লাস থেকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি বরখাস্তও করতে পারে। প্রয়োজনে জরিমানাও করা যাবে। এতেও কাজ না হলে, বিনা নোটিসে পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বিতাড়িতও করতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
যদিও স্কুলগুলির বিরুদ্ধে পরিষেবা না দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। আদালত বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সময়ে পর্যালোচনা করবে বলে জানিয়েছে।