রাহুল রায়: ২৩-এর পর আরও ৫৪ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। পুজোর আগেই সারতে হবে মোট ৭৭ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতের জন্য রাখা শূন্যপদ থেকে নিয়োগ করতে হবে। নিয়োগের সময়সীমাও বেঁধে দিল আদালত। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে ভবিষ্যতে এই নিয়োগের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকায় বহু পরীক্ষার্থীই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। এধরনের একাধিক মামলা চলছে হাই কোর্টে।
২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টেটের (Primary TET) পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। সেবছরই পরীক্ষা দিয়েছিলেন এই ৫৪ জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু ২০১৬ সালে ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় তাঁরা টেট পাশ করেননি। স্বাভাবিকভাবেই সেই সময় চাকরি পাননি তাঁরা। ওই পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পর্ষদের প্রশ্নে ভুল ছিল। ওই ছ’ নম্বরের জন্য চাকরি পাননি তাঁরা।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা: ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা তলব হাই কোর্টের]
এর মধ্যে অন্য একটি মামলায় দেখা যায়, ভুল প্রশ্ন থাকায় চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বাড়াতে রাজি হয় পর্ষদ। তারপরই কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন এই পরীক্ষার্থী। এরপর ওই নম্বর দেওয়া যায় কিনা তা পর্ষদকে বিচার করতে বলে হাই কোর্ট। নিজেদের ভুল স্বীকার করে নম্বর বাড়িয়ে দেয় পর্ষদ। ফলে টেটে পাশ করে যান ওই চাকরিপ্রার্থীরা। এরপরই বিপত্তি। মামলাকারীদের অভিযোগ, তাঁরা নম্বর পাবেন কিনা তা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০২০ সালে নতুন নিয়োগ করে পর্ষদ। এমনকী, প্রশিক্ষণহীনরাও চাকরি করছেন। এদিকে আদালতে পর্ষদ জানিয়েছে, আপাতত কোনও শূন্যপদ নেই। প্রয়োজনে ভবিষ্যতের জন্য রাখা পদ থেকে নিয়োগ করতে হবে। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সারতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
গতকাল অর্থাৎ সোমবার এরকম এক মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, “বোর্ডের ভুলে পাঁচ বছর চাকরি পাননি ওঁরা। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।” একইসঙ্গে তিনি জানান, এই ধরনের যত মামলা আসবে তিনি সেগুলি বিবেচনা করবেন। এদিন এই তালিকায় আরও ৫৫ জনের নাম জুড়ল। সবমিলিয়ে পুজোর আগে ৭৭ জন চাকরিপ্রার্থীর হাতে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে নিয়োগের চিঠি তুলে দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।