শুভঙ্কর বসু: সুপ্রিম কোর্টের পর কলকাতা হাই কোর্টেও (Calcutta High Court) ধাক্কা খেল বিজেপি। কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ‘না’। নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্য পুলিশের উপরেই আস্থা হাই কোর্টের। পুলিশ কমিশনারকেই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের একক বেঞ্চের। সূত্রের খবর, হাই কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে বিজেপি।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোট। কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। সোমবার তাদের আবেদন শোনেনি শীর্ষ আদালত। পরিবর্তে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতিরা। বুধবার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার একক বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়।
[আরও পড়ুন: বড়দিন ও বর্ষবরণে শিথিল রাজ্যের কোভিডবিধি, ৯ দিন থাকছে না রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞা]
বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বিজেপির আরজি খারিজ করে দেন। তিনি জানান, কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। রাজ্য পুলিশই (Police) পুরভোটের দিন নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবে। পুলিশ কমিশনারকে নিরাপত্তার বিষয়ে নজর রাখার নির্দেশ দেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সবরকম সাহায্যেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আরজি খারিজ করলেও কলকাতা পুরভোটে সমস্ত বুথ এবং স্ট্রং রুমে সিসিটিভি রাখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট।
পুরভোটে বাহিনী সংক্রান্ত কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর তরজা। আদালতের নির্দেশে মোটেও খুশি নয় বঙ্গ বিজেপি। হাই কোর্টের রায় প্রসঙ্গে কিছু মন্তব্য করতে রাজি না হলেও পুরভোট আদৌ অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। যদিও তার পালটা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও হারল কেন? কর্মী নেই। মানুষের কাছে যাওয়ার কেউ নেই। তাদের আবার বড় বড় কথা।”