শুভঙ্কর বসু: এখনই গ্রেপ্তার করা যাবে না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। সোমবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। যার জেরে দেহরক্ষীর রহস্যজনক মৃত্যু-সহ মোট পাঁচটি মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন তিনি। পাশাপাশি, তিনটি মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
রাজ্যের বিভিন্ন থানায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে। মামলাগুলি হয় খারিজ করা হোক নয়তো সেগুলি সিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হোক, এই আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা-র এজলাসে শুনানি হয়। শুনানির পর আদালত জানিয়ে দেয়, কোনও মামলাতেই শুভেন্দু অধিকারীকে এখন গ্রেপ্তার করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপও করা যাবে না। এমনকী, ভবিষ্যতে যদি বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের হয়, সেই মামলার প্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ করতেও হাই কোর্টের অনুমতি লাগবে বলে জানিয়েছে আদালত।
[আরও পড়ুন: জল্পনাই সত্যি, প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যু মামলায় CID দপ্তরে হাজিরা দিলেন না শুভেন্দু অধিকারী]
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে। একটি মামলা দায়ের হয়েছে নন্দীগ্রাম থানায়। অতিমারী আইন ভেঙে পুলিশ সুপারকে হুমকি দেওয়ায় তমলুক থানায় মামলা হয়েছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে সোনার গয়না ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছিল। সেই তদন্তে শুভেন্দুর নাম জড়ায়। পাঁশকুড়া থানায় এ নিয়ে মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে শুভেন্দুর দেহরক্ষীর মৃত্যু মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে কাঁথি থানায়। এদিকে চাকরির নামে প্রতারণার মামলা রয়েছে মানিকতলা থানাতে। এই পাঁচ মামলাতেই আদালতের রায়ে আপাতত স্বস্তি পেলেন তিনি।
এদিন আদালত পাঁচটির মধ্যে তিনটি মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে দেহরক্ষীর রহস্যজনক মৃত্যু মামলাও রয়েছে। রয়েছে নন্দীগ্রাম, পাঁশকুড়া থানার মামলাও। বাকি দুই মামলায় বিরোধী দলনেতাকে সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। জনস্বার্থে কাজ করেন। তাঁর সুবিধামতো জায়গা এবং সময়ে জেরা করতে হবে। সবমিলিয়ে আপাতত রেহাই পেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।