গোবিন্দ রায়: অভিযোগ গুরুতর। প্রথমে তরুণীর অশ্লীল ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল। পরে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার অভিযোগ। এনিয়ে একাধিক বার স্থানীয় থানা থেকে সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তরুণী ও তাঁর পরিবার। কিন্তু সুরাহা হয়নি।
একাধিকবার এরকম গুরুতর অভিযোগ পাওয়া সত্বেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় কলকাতা হাই কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল হাওড়া জেলা পুলিশকে। তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
মামলাকারী তরুণীর আইনজীবী শুভব্রত চৌধুরী আদালতে জানান, বছর দুই আগে একটি সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা তাঁর মক্কেল। এখন আর সেই সম্পর্ক নেই। কিন্তু সম্পর্ক থাকাকালীন প্রেমিকের সঙ্গে কিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি রয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, তরুণীর সেই ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন প্রাক্তন প্রেমিক। এমনকী, পরে সেই ঘনিষ্ঠ ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে চাঞ্চল্য, ভাইরাল নিহতের ভাইপোর সঙ্গে IC’র কথোপকথন!]
তরুণীর আইনজীবীর দাবি, এ নিয়ে তাঁর মক্কেল হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এর পর হাওড়ার পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগের দ্বারস্থও হন তিনি। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। তাই সুবিচারে আশাতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই তরুণী।
হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে (সিপি) এনিয়ে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পরবর্তী শুনানিতে মামলার কেস ডায়েরি নিয়ে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সশরীরে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এরকম গুরুতর অভিযোগ পাওয়ার পরও সাইবার ক্রাইমের আধিকারিক ও গোলাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কোনও ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২২ মার্চ।