শুভঙ্কর বসু: বন সহায়ক পদে নিয়োগ তরজার জল গড়াল হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলা নিয়ে এবার রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। ৪ মার্চের মধ্যে হলফনামা জমা করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মন্থা।
গত নভেম্বর মাসে রাজ্যের ২ হাজার বন সহায়ক পদে নিয়োগ হয়। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন মালদহের বাসিন্দা কৌশিক ঘোষ। এর আগে স্যাটেও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিন হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মন্থা নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছেন রাজ্যের কাছে। মেধা তালিকা কী অবস্থায় রয়েছে, সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে আদালত। হলফনামা জমা পড়ার পরই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন : ঠাকুরপুকুরে একই বাড়ি থেকে উদ্ধার বাবা-মা-ছেলের ঝুলন্ত দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা]
প্রসঙ্গত, বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে আপাতত উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক নয় বলে অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। দিন কয়েক আগে একই অভিযোগ শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনি বলেছিলেন, “আমাদের সঙ্গে ছেলেটা ছিল। সে এখন আমাদের সঙ্গে আর নেই। আমার কাছে অভিযোগ এসেছে বন সহায়ক পদ নিয়ে কারচুপি হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি।”
পালটা তোপ দাগেন তৎকালীন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “কোথা থেকে সুপারিশ হয়েছে, দেখাতে পারি। সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। হোক তদন্ত। আমি মুখ খুললে বটগাছ নড়ে যাবে।” মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “সব রেকর্ড করে রেখেছি। প্যানডোরা’স বক্স খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন এটুকুই থাক। প্রয়োজনে আবার বলব।” এবার সেই বিতর্কের জল গড়িয়েছে আদালতে