ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে অনশন শুরু করেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ পড়ুয়া। শনিবার অনশন প্রত্যাহারের আবেদন জানাতে কলেজে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে এসে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে। আর এই ঘটনায় কলেজের ছাত্রদের একাংশ সম্পর্কে চিন্তায় স্বাস্থ্যভবন ও কলেজ কতর্পক্ষের। অভিযোগ, বাইরের মদতেই স্বাস্থ্যসচিবের প্রস্তাবও প্রত্যাখান করেছে পড়ুয়াদের একাংশ।
ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবনের তরফে অনশনরত ছাত্রদের বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ছেলেরা যাতে অনশন প্রত্যাহার করেন, তার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ জানাতে বলা হয়। মঙ্গলবার যদি জট না খোলে তাহলে কোন পথে এগোবে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের কমর্সূচি, তা নিয়েও চিন্তায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। আজ, রবিবার দুপুরেই অনশনরত ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন জয়েন্ট প্ল্যাটর্ফম অফ ডক্টরস ফোরামের ডা পূণ্যব্রত গুন, সানস গুমটা ডা দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়কে। অনশনরতদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে তাঁরা ফিরে যান। সোমবার অনশনরত ছাত্রদের সমর্থনে মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ব্লকে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সব বিধায়কই ঝুঁকে বিজেপির দিকে? গুজরাটে বড়সড় ধাক্কার মুখে আম আদমি পার্টি]
অনশনরত ছাত্রদের পাশে ‘হোক কলরব’ পোস্টার পড়েছে। আবার বিকেলেই কলেজ কতর্পক্ষের ঘরে ঢুকতে দেখা যায় বিধায়ক ডা নির্মল মাজিকে। তবে অনশনরতদের ধারে কাছে তাঁকে দেখা যায়নি। কলেজ অধ্যক্ষ ডা ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেছেন, ‘‘অনশনরতদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছি। আজ তিনবার ওদের সঙ্গে কথা হয়েছে। শরীর-স্বাস্থ্যে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে হাউস স্টাফরাই ব্যবস্থা করবে। তবে কলেজে কোনওভাবে পুলিশ ঢুকতে দেওয়া হবে না। স্বাস্থ্যসচিবও এই বিষয়ে সহমত।’’
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, মঙ্গলবারের আলোচনার অ্যাজেন্ডার লিখিত কপি চেয়েছে অনশনরত পডুয়ারা। মেডিক্যাল সুপার ডা. অঞ্জন অধিকারীর কথায়, স্বাস্থ্যসচিব যদি নির্দেশ দেন অবশ্য দেওয়া হবে। যদিও অনশনরত পড়ুয়াদের তরফে অনিকেত কর জানিয়েছেন, ‘‘ছ’বছর ছাত্র সংসদের ভোট হয় না। যে সংগঠনই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাক না কেন, ছাত্র সংসদ আমাদের হকের দাবি। ছাত্র সংসদ হলেই অন্য সমস্যাগুলি মান্যতা পাবে।’’ এদিকে অসুস্থ তিন ছাত্রের অবস্থার তেমন পরির্বতন হয়নি। এদিন বিকেলে তাঁদের রক্তের নুমনা সংগ্রহ হয়। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় রক্তে শর্করা কমছে। ক্লান্তি আসছে। জানিয়েছেন অনশনকারীরা।