সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাহিত্য ও সামাজিক ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানকে স্বীকৃতি দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে সাম্মানিক ডিলিট উপাধি তুলে দিলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। বুধবার নজরুল মঞ্চে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সম্মানপ্রাপ্তিতে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘এমন সম্মান পাব, জীবনে ভাবিনি, নিজেকে ধন্য মনে করছি। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি গর্বিত।’ প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে ডিলিট উপাধি দিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
[মমতাকে সাম্মানিক ডিলিট দেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]
প্রতি বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের হাতে যেমন ডিগ্রি তুলে দেন রাজ্যপাল তথা আচার্য, তেমনি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতী সাম্মানিক ডিলিট উপাধিও দেওয়া হয়। এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডিলিট উপাধি পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজ ও সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য এই সম্মান দেওয়া হল তাঁকে। বুধবার নজরুল মঞ্চে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে মানপত্র তুলে দিলেন রাজ্যপাল তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন রাজ্যপাল আর কে নারায়ণ-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। ডিলিট উপাধি পেয়ে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এমন সম্মান পাব, জীবনে কোনওদিন ভাবিনি। নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি। সমাবর্তন অনুষ্ঠান আসতে পেরে আমি গর্বিত।’ তাঁর সংযোজন, ‘ এই সম্মান দেওয়ার প্রস্তাব নিয়েও আমাকের অসম্মান করার কম চেষ্টা হয়নি। তাই প্রথমে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসব কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলাম।’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও শিক্ষকদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বার্তা, ‘ দেশ জুড়ে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। ইতিহাসকে যেন বিকৃত করা না হয়। সহনশীলতাই মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ। অসহিষ্ণু নয়, সহিষ্ণু হতে হবে।’ এদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
[‘মমতা দিদি কা জয়’ ধ্বনিতে আশীর্বাদ সন্ন্যাসীর, ঘোর বিড়ম্বনায় দিলীপ]
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছিল কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু, ঘটনা হল, যাদব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে তেমন কোনও সংস্থান নেই। শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট উপাধি দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ই। ঘটনাচক্রে, এবছর আবার প্রথম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে নজরুল মঞ্চে হল সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট দেওয়ার বিপক্ষে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। এখনও সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।
[স্ত্রী ‘গোসাঘরে’, ভাঙা সংসার জোড়া লাগাতে চেষ্টা আদালতের]
ছবি- অমিত ঘোষ
The post ‘নিজেকে ধন্য মনে করছি’, সাম্মানিক ডিলিট পেয়ে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.