সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের (Karnataka) ২২৪ বিধানসভা আসনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকে মোটের উপর নির্বিঘ্নেই চলছে ভোটগ্রহণ। তবে ভোটের দিনও দিনভর কন্নড়ভূমে বিতর্কে থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যার মূলে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর লেখা একটি চিঠি।
আসলে প্রচাররের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও সমর্থন চেয়ে কন্নড়বাসীদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি (Narendra Modi) লেখেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকার কর্ণাটককে দেশের এক নম্বর রাজ্য করার লক্ষ্য নিয়েছে। “আপনারা আমাকে সবসময় ভালবাসা ও স্নেহ দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন। আমার কাছে তা ঈশ্বরের আশীর্বাদের মতো মনে হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বলে দেন, কর্ণাটক এবং আমি আবেদন সেই চিঠির ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন মোদি।
[আরও পড়ুন: BJP অফিসের বাইরে উপড়ে ফেলা হল রাজীব-ইন্দিরার মূর্তি! বিরোধীদের রোষানলে গেরুয়া শিবির]
কিন্তু প্রচারের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এইভাবে খোলা চিঠি দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন মোদি। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত এভাবে কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতা ভোট প্রার্থনা করতে পারেন না। সাংবিধানিক পদে থেকে তো করাই যায় না। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস (Congress)।
[আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে বঞ্চিত সরকারি কর্মীরা! কেন্দ্রীয় হারে ডিএ’র দাবিতে আন্দোলনের ডাক]
এখন প্রশ্ন কংগ্রেসের এই অভিযোগের ভিত্তিতে কী প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন? কমিশন (Election Commission) সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী ওই খোলা চিঠি লিখে কোনও নিয়ম ভাঙেননি। জনপ্রতিনিধি আইনের ১২৬ নম্বর ধারায় সাইলেন্স পিরিয়ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে কোনও বাধার উল্লেখ নেই। অর্থাৎ নির্বাচনের আওতায় নেই এমন কোনও জায়গা থেকে কেউ ভোটের প্রচার করলেও তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে না। তাই সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী খোলাচিঠি লিখলেও তিনি শাস্তির আওতায় আসবেন না।