সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানিদের (Khalistan) দাবিতে সায় দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। সেদেশের খলিস্তানিদের অভিযোগে কার্যত সিলমোহর দিয়ে কানাডায় (Canada) নিযুক্ত এক উচ্চপদস্থ ভারতীয় কূটনীতিককে নির্বাসিত করল ট্রুডোর মন্ত্রীসভা। সোমবারই ট্রুডো জানিয়েছিলেন, কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের (India) হাত থাকতে পারে বলেই তদন্তকারীদের অনুমান। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার খানিকক্ষণ পরেই কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি জানান, এক উচ্চপদস্থ ভারতীয় কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
বিবৃতি প্রকাশ করে মেলানি বলেন, কানাডার ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কানাডার নাগরিক হরদীপের খুনের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে বলেই মনে করছে দেশের নিরাপত্তা বজায় রাখার সংস্থাগুলো। এই অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে বোঝা যাবে, কানাডার সার্বভৌমত্বের বড় রকমের বিরোধিতা করা হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার প্রাথমিক নিয়মও ভেঙেছে। তার জেরেই শীর্ষস্থানীয় এক কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হল।
[আরও পড়ুন: মাঝরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে, প্রচুর নথি নষ্টের আশঙ্কা]
জানা গিয়েছে, খলিস্তানি নেতা খুনে ভারতের যোগ রয়েছে কিনা সেই নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও আলোচনা করছেন ট্রুডো। সোমবার তিনি বলেন, “কানাডার এজেন্সির অনুমান খলিস্তানি নেতা খুনে ভারত সরকারের যোগ থাকতে পারে। গত সপ্তাহে জি-২০ সম্মেলন চলাকালীন ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানিয়েছিলাম। তবে এখনও আমি ভারত সরকারের কাছে আবেদন করব, এই বিষয়ে যেন কানাডার সঙ্গে তাঁরা সহযোগিতা করেন।” প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কানাডার খলিস্তানি নেতা হরদীপের। কানাডার খলিস্তানিদের দাবি, ভারতের মদতেই খুন করা হয়েছে তাঁদের নেতাকে। ২০২২ সালে তাঁর মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ধার্য করেছিল এনআইএ।
[আরও পড়ুন: মমতার উদ্যোগে শিল্পপতিদের ‘ঘর ওয়াপসি’, উত্তরবঙ্গে বিপুল লগ্নি মিত্তলদের]
তবে কানাডার এই অভিযোগ একেবারে নস্যাৎ করে দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার সকালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, এই অভিযোগ অবাস্তব। ইচ্ছাকৃতভাবে এই অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে। গণতান্ত্রিক মতাদর্শ পালন করে ভারত, কানাডায় ঘটে যাওয়া কোনও হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গেই ভারতের যোগ নেই।