সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৌতম আদানির বিরুদ্ধে বড়সড় কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনেছে আমেরিকার আদালত। তার পরেই গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তরের দাবি, আদানির বিরুদ্ধে যাই অভিযোগ উঠুক না কেন তাতে ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবনতি হবে না। কারণ দুই দেশের সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত।
দেশের অন্যতম ধনী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে ভারত সরকারের আধিকারিকদের ২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২২০০ কোটি টাকারও বেশি। ওই প্রকল্পের বরাত পেতে মরিয়া আদানি গোষ্ঠী ভারত সরকারের আধিকারিকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। বরাত পেলে আগামী ২০ বছরে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার লাভের মুখ দেখত আদানি গোষ্ঠী। গৌতম আদানির পাশাপাশি তাঁর ভাইপো সাগরও এই মামলায় অভিযুক্ত।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গৌতম ও সাগর দু’জনের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আমেরিকার প্রশাসন। এই ঘটনায় উঠে এসেছে এক রহস্যময় ব্যক্তির নাম। তাঁর নাম ‘ফরেন অফিশিয়াল #১’। জানা গিয়েছে, তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক। ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন। আর তাঁকেই মোট ঘুষের অঙ্কের ১৭৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা বাড়ছে এই ব্যক্তিকে।
এহেন পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারিন জ্যাঁ-পিয়ের। তিনি বলেন, "আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেটা আমরা জানি। তবে এই নিয়ে বিচার দপ্তর বিশদে জানাতে পারবে। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্ক খুবই দৃঢ়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা বিষয়ে দুই দেশ একে অপরের সহযোগী।" আদানি ইস্যুতে ভারত-আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেই আশাবাদী হোয়াইট হাউস।