স্টাফ রিপোর্টার: দু’জনেই নয়াদিল্লির ক্রিকেটার হলে কী হবে, সদ্য প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে কোনও দিনই তেমন সখ্য ছিল না গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir)। বরং প্রাক্তন বাঁ হাতি ওপেনার বিভিন্ন সময়ে অধিনায়ক বিরাটের কর্কশ সমালোচনা করে এসেছেন। এবং গোটা ক্রিকেটবিশ্বকে স্তব্ধ করে কোহলি টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে নিয়ে কোনও সহানুভূতি দেখালেন না গম্ভীর। বরং এক শোয়ে এসে বলে দিলেন যে, বিরাটের অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে এত হাহাকারের কিছু নেই। সবাইকে একদিন না একদিন অধিনায়কত্ব ছাড়তে হয়। কারণ, অধিনায়কত্ব কারও জন্মগত অধিকার নয়!
খোঁজ না নিয়ে লিখে দেওয়া যায় যে, গম্ভীরের এ হেন কর্কশ মন্তব্য এতটুকু প্রসন্ন করবে না কোহলিকে। গম্ভীরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, কোহলি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেন। এখন থেকে শুধুই তিনি টিমের একজন সাধারণ যোদ্ধা। নতুন বিরাটের থেকে কী প্রত্যাশা করা যেতে পারে? উত্তরে চাঁচাছোলা ভাবে গম্ভীর বলে দেন, “নতুন কী দেখার আছে? অধিনায়কত্ব কারও জন্মগত অধিকার নয়। এমএস ধোনিকে (MS Dhoni) এক সময় অধিনায়কত্বের ব্যাটন বিরাটকে দিয়ে দিতে হয়েছে। বিরাটের নেতৃত্বে খেলেওছে ধোনি। মনে রাখবেন, ধোনির কিন্তু তিনটে আইসিসি (ICC) ট্রফি আছে। সঙ্গে চারটে আইপিএল (IPL)।”
[আরও পড়ুন: চোট সারিয়ে কবে দলে যোগ দেবেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা? বোর্ডের তরফে মিলল ইঙ্গিত]
সঙ্গে বিস্ফোরক প্রাক্তন নাইট অধিনায়কের সংযোজন, “কোহলির (Virat Kohli) উচিত এ সব বাদ দিয়ে রান করা। সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। লোকে স্বপ্ন দেখে ভারতের হয়ে খেলার, ভারতের অধিনায়কত্ব করার নয়। স্বপ্নটা হওয়া উচিত দেশকে জেতানো। কী আলাদা হবে অধিনায়ক না থাকলে? তুমি টস করতে যাবে না আর ফিল্ড প্লেস করবে না, এই তো। কিন্তু তোমার এনার্জি, তোমার ইচ্ছেটা একই থাকা উচিত।”
[আরও পড়ুন: কোহলির পরে টেস্ট দলের ক্যাপ্টেন কি বুমরাহ? মুখ খুললেন তারকা পেসার]
গম্ভীর একা নন, বিরাটের অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে হাহাকার করতে রাজি নন আরও অনেক প্রাক্তনই। খোদ কিংবদন্তি অধিনায়ক কপিল দেব বলে দিয়েছেন, এবার ইগো ছেড়ে জুনিয়রদের অধীনে খেলা উচিত কোহলির। আরেক প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকরেরও বক্তব্য, নিজে না ছাড়লে হয়তো বোর্ডই ছাড়িয়ে দিতে বিরাটকে। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকরও তেমনই মনে করছেন। তাঁর সাফ কথা, অধিনায়কত্ব যাবে, সেটা বুঝতেই পেরেছিলেন কোহলি। সেকারণেই তাঁর পদত্যাগ।