রিংকি দাস ভট্টাচার্য: উত্তরবঙ্গের সাফারি পার্কে জন্ম নিয়েছে তিনটি ব্যাঘ্র শাবক। দক্ষিণবঙ্গের কপাল কবে খুলবে? দিন গুনছেন আলিপুর চিড়িয়াখানার কর্তারা।
[বিমানবন্দরে পটল চিরে মিলল ৪৭ লক্ষের বিদেশি নোট, থ শুল্ক কর্তারা]
কাঠফাটা গরমেও উত্তরবঙ্গ সাফারি পার্কে বসন্তের আমেজ। পূর্ণবয়ষ্ক বাঘিনী শীলা জন্ম দিয়েছে তিনটি শাবকের। জঙ্গলের বাইরে এই প্রথম বংশবৃদ্ধি হল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। কিন্তু, কলকাতায় আর অভয়ারণ্য কই! অগত্যা বাঘের সংখ্যা বাড়াতে ভরসা ক্যাপটিভ ব্রিডিং বা খাঁচাবন্দি পশুর প্রজনন। আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত জানিয়েছেন, ‘বাঘের সঙ্গে সিংহেরও ক্যাপটিভ ব্রিডিং করানোর চেষ্টা চলছে। কয়েকটি যুগলের মধ্যে মেলামেশা বেড়েছে।‘
আলিপুর চিড়িয়াখানায় খাঁচাবন্দি পশুর প্রজননের চেষ্টা অবশ্য নতুন নয়। এরআগে হতাশ করেছে দুই জোড়া বাঘ দম্পতি। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থেকেও মিলনে অনীহা দেখিয়েছে বিশাল-সুন্দরকান্ত ও ঋষি-পায়েল। তবে শ্রুতি-রূপার ভাবগতিক হাসি ফুটিয়েছে চিড়িয়াখানার কর্তাদের মুখে। চিড়িয়াখানার এক কর্মীর দাবি, ছুটির দিনে কিংবা কাকভোরে ওই বাঘ ও বাঘিনীটিকে বিশেষ খাঁচায় ছেড়ে দেওয়া হয়। মিলিত হয়েছে তারা। সুখবর এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। বস্তুত, শুধু বাঘ নয়, আলিপুর চিড়িয়াখানায় এশীয় প্রজাতির দুটি সিংহেরও ক্যাপটিভ ব্রিডিং বা খাঁচাবন্দি প্রজনন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের পর কেমন আছেন দিলচাঁদ? জানালেন চিকিৎসকরা]
প্রায় নয় বছর আগে সেন্ট্রাল জু অথিরিটির নিয়মের গেরোয় ক্যাপটিভ ব্রিডিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানায়। কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছিল, কোনও চিড়িয়াখানাতেই ১০টির বেশি বাঘ রাখা যাবে না। আলিপুরে তখন দশটির বেশি বাঘ ছিল। ফলে ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ের আর প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু, এখন আবার বাঘের সংখ্যা কমেছে। বছর দুয়েক আগে ওড়িশার নন্দনকানন থেকে চারটি বাঘ আনা হয় চিড়িয়াখানায়। একটি বাঘ ও বাঘিনীকে পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গের সাফারি পার্কে। সম্প্রতি সেখানে তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছে ওই বাঘ-দম্পতি। আশাবাদী আলিপুর চিড়িয়াখানার কর্তারাও।
[ভাগাড়ের মাংসের সঙ্গে পাল্লা ভেজাল মদের, বিদেশি স্কচেও মিশছে সস্তার দেশি হুইস্কি]
The post ফের ক্যাপটিভ ব্রিডিং আলিপুর চিড়িয়াখানায়, নয়া অতিথির অপেক্ষা আধিকারিকদের appeared first on Sangbad Pratidin.