অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: ফের রাতের শহরে বেপরোয়া গাড়ির দাপট। গাড়ির ধাক্কায় আহত হলেন কর্মরত তিন পুলিশ কর্মী ও তিন পথচারী। পুলিশকর্মীদের ধাক্কা মারার পর গাড়িটি একটি বাইকেও ধাক্কা মারে। তার পরেই গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ফুটপাতে উঠে যায় গাড়িটি। তার জেরে আহত হন তিন পথচারী। পরে চালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ক্যামাক স্ট্রিট (Camac Street) ও মিডিলটন রোডের ক্রসিংয়ে নাকা চেকিং চালাচ্ছিল পুলিশ। সেই সময় একটি জুম কারকে আটকায় তাঁরা। সেখানে গাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন কি না তা পরীক্ষাও করা হয়। এর পরেই হঠাৎই গাড়ির গতিবেগ বাড়িয়ে চার পুলিশকর্মীকে ধাক্কা দিয়ে পালাতে যায় চালক। আহত হন এক হোমগার্ড ও দুই সার্জেন্ট। এর পরে একটি বাইকেও ধাক্কা মারে গাড়িটি। আরও কিছুদূর এগিয়ে বরদান মার্কেটের কাছে ফুটপাতে উঠে য়ায় গাড়িটি। যার জেরে আহত হন তিন পথচারী।
[আরও পড়ুন: কোনও পুনর্নির্বাচন নয় মানিকতলায়, বিজেপির দাবি খারিজ নির্বাচন কমিশনের]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির চালক কলেজ স্ট্রিটের (College Street) বাসিন্দা। তিনি বুধবার রাতে হাজার টাকার বিনিময়ে একটি জুম কার ভাড়া করেন। মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছেন কি না তা পরীক্ষা করার পরই প্রচন্ড গতিতে গাড়ি চালাতে থাকেন। তিনি মদ্যপ ছিলেন না বলেই খবর। কিন্তু কী কারণে তিনি এই ঘটনা ঘটালেন তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গাড়ির চালককে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাতের শহরে আগেও বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কা মারার খবর উঠে এসেছে। গত মাসেই, রাতের শহরে গতির বলি হন এক তরুণ। মৃত তরুণের নাম সমীর গায়েন। বছর কুড়ির ওই তরুণ শহিদ স্মৃতি কলোনির বাসিন্দা ছিলেন। এদিকে রাতের শহরে গাড়ির বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়। তার মধ্যেই এই ঘটনায় ফের পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।