সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বেপরোয়া গতিতে চলছে গাড়ি। আর তার জেরে বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে রাজ্যের দুই প্রান্তে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুই দুর্ঘটনা। একদিকে খাস কলকাতার সল্টলেকে (Saltlake) ডিভাইডারে ধাক্কা মারল বেপরোয়া গাড়ি। গাড়ি থেকে প্রায় ৫০ ফুট দূরে ছিটকে পড়লেন চালক। প্রাণ না গেলেও গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের কান্দি রাস্তার পাশের দোকানে ঢুকে গেল মালভরতি ডাম্পার। মৃত্যুর খবর না থাকলেও চালক এবং তাঁর সহকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ বেপরোয়া গতিতে আসা একটি গাড়ি সেক্টর ফাইভের ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাছে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটি এত দ্রুতবেগে আসছিল যে ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাকা ফেটে যায়। উলটে যায় গাড়িটি। এদিকে ঝাঁকুনির চোটে চালক গাড়ি থেকে ৫০ ফুট দূরে ছিটকে পড়েন। মাথায় আঘাত লাগে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চালকের মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছিল। আঘাত গুরুতর হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। গাড়িটি আটক করে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘সুশাসন’ শিখতে মোদির গুজরাটে বামশাসিত কেরলের প্রতিনিধি দল, তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর]
বুধবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি থানার দোহালিয়া বাইপাস রোডে আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে একটি দোকানে ঢুকে যায় মাল ভরতি ডাম্পার। দুর্ঘটনার বিকট শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ডাম্পারের ভিতর থেকে চালক ও সহকারীকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করেন। জখম দুজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। খবর পেয়ে কান্দি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে খোঁজখবর শুরু করে।
[আরও পড়ুন: তীব্র দাবদাহে এগিয়ে এল গরমের ছুটি, দিনক্ষণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
কান্দি থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, সম্ভবত দোহালিয়া বাইপাস এলাকায় বাঁক নিতে গিয়ে ডাম্পারের স্টিয়ারিং লক হয়ে যাওয়ায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। তার পর ডাম্পারটি প্রথমে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে পরে একটি দোকানের শাটার ভেঙে ঢুকে যায়। গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটায় দোকানের ভিতর কেউ ছিলেন না। তবে ডাম্পারের চালক এবং সহ চালকের আঘাত গুরুতর। খুঁটিতে ধাক্কা মারায় এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।