গোবিন্দ রায়: রঙের কৌটর গায়ে জ্বলজ্বল করতে দেখা যায় ‘সিল্ক’, লেখা। যা দিয়ে বোঝানো হয়, ওই রঙের ফিনিশিং কেমন। এবার সেই 'সিল্ক' শব্দ চুরির অভিযোগ উঠল। 'সিল্ক' শব্দটি কে ব্যবহার করতে পারবে তা নিয়েই মামলা গড়াল কলকাতা হাই কোর্টে। অভিযোগ তুলেছে রং প্রস্তুতকারক এক সংস্থা অপর সংস্থার বিরুদ্ধে। যদিও এই শব্দ শুধু কি একটি সংস্থাই ব্যবহার করতে পারবে, নাকি অন্য সংস্থারও এর ব্যবহারের অধিকার আছে তা স্পষ্ট করেনি হাই কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, 'সিল্ক' শব্দটি প্রোডাক্টের ধরন বর্ণনা করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ট্রেডমার্ক হিসেবে ব্যবহার হলে, তার ক্ষেত্রে বিষয়টা খতিয়ে দেখতে হবে। এনিয়ে দুপক্ষকে হলফনামা দেওয়ার নিদের্শ দিয়েছে আদালত। এই শব্দ যে কেউ ব্যবহার করতে পারে কি না, তা পরবর্তী শুনানিতে ঠিক হবে।
[আরও পড়ুন: জৌলুসহীন শ্রীকলোনির বাড়ি, না থেকেও রায়গঞ্জের ভোটে ‘অভিভাবক’ প্রিয়দা]
আদালতে মামলায় আবেদনকারী রঙের সংস্থার দাবি, ১৯৮০ সাল থেকে ‘সিল্ক’ শব্দটির জন্য তাদের রেজিস্ট্রেশন করা ছিল। কেবলমাত্র রঙ ও অন্যান্য প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে তারা এটা ব্যবহার করতে পারে। সংস্থার অভিযোগ, সম্প্রতি অপর একটি সংস্থা এই ‘সিল্ক’ শব্দটা ব্যবহার করছে তাদের প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে। তাদের ওই প্রোডাক্টের মিল আছে বলেও অভিযোগ। আরও দাবি, জেনেশুনেই এই শব্দ ব্যবহার করেছে। এটা ব্যবহার করে তারা কিছু সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করছে। অর্থাৎ ক্রেতাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
যদিও যে সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত শব্দ চুরির অভিযোগ উঠছে সওয়াল জবাবে তাদের দাবি, সিল্ক শব্দটা রঙের ‘ফিনিশ’-এর জন্য ব্যবহার করা হয়। ঠিক যেমন ম্যাট, স্যাটিন, গ্লস শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়, সেভাবেই এই শব্দটা ব্যবহার করা যায়। এর আগে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্ত সংস্থার দাবি এই যুক্তি মেনে নিয়েছে। যা চ্যালেঞ্জ করে মামলা যায় ডিভিশন বেঞ্চে।