সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কার্যত ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকেছে। ল্যামিনেশন পেপার আমদানি করার ক্ষমতাও নেই সরকারের। চরম আর্থিক সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান। এবার তারাই নাকি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে মালদ্বীপের দিকে? সেদেশের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ইসলামাবাদ। এমনটাই খবর।
গত একমাসে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। এই আবহে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। দ্বীপরাষ্ট্রটির জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণে বড়সড় কাটছাঁট করে দিয়েছে কেন্দ্র। আর এদিনই মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন পাকিস্তানের কেয়ারটেকার সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক কাকর। আগামিদিনে দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য আলোচনা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে। এমনকী মালদ্বীপের উন্নতিতে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কাকর।
[আরও পড়ুন: শান্তিরক্ষায় ‘সঙ্গী’, ভারতকে ৩১টি শিকারি ড্রোন বিক্রিতে সায় আমেরিকার]
পিটিআই সূত্রে খবর, এদিনের আলোচনার পর মুইজ্জুর কার্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের জরুরি উন্নয়নের জন্য সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কাকর। আবহাওয়া পরিবর্তন প্রশমিত করার জন্য মালদ্বীপের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তান। এই প্রয়াসেও তাদের সহযোগিতা থাকবে। এছাড়া কাকরের সঙ্গে ফোনালাপের পর মুইজ্জুও জানিয়েছেন,”মালদ্বীপের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণে পাক সরকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।” যাদের নিজেদের ভাঁড়ারে ব্যাপক টান পড়েছে তারাই আবার অন্য দেশকে সাহায্যের কথা বলছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত-মালদ্বীপ সংঘাতেও আসরে নেমে পড়েছে ইসলামাবাদ। এই পদক্ষেপ যে শুধুমাত্র নয়াদিল্লির বিরোধিতার করার জন্যই তা স্পষ্ট।
বলে রাখা ভালো, করোনা মহামারী, অপশাসন ও ঋণের ভারে পাকিস্তানের অর্থনীতি কার্যত হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে। জোর ধাক্কা খেয়েছে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি। ফলে তলানিতে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার। যে কারণে খাবার থেকে ওষুধ সবকিছুরই দাম ভয়ানক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে সরকার বদলেছে। কিন্তু পাকিস্তানের অর্থনীতির কোনও উন্নতি হয়নি।
উল্লেখ্য, গতকাল বাজেটে মালদ্বীপের সাহায্যের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ এক ধাক্কায় ২২ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষদ্বীপ সফরের পরেই মালদ্বীপ-ভারত সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। মোদিকে নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর দলের একাধিক নেতা। এবার এই সুযোগটাই কাজে লাগাল পাকিস্তান।