সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) বিহারে জাতিগত জনগণনা করানোর পর থেকেই বিষয়টি জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের সব জনসভাতেই কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী জাতিগত জনগণনা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বস্তুত পাঁচ রাজ্যের ভোট এবং আগামী লোকসভায় কংগ্রেসের প্রধান এজেন্ডাই হতে চলেছে এই জাতিগত জনগণনা। আর তাতেই কংগ্রেসের অন্দরে প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে।
ভোটের ময়দানে ক্ষমতাসীন দল মূলত সরকারের কাজের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে প্রচার করে থাকে। ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে এখন কংগ্রেসের সরকার। এই দুই রাজ্যের প্রচারেও রাহুলের (Rahul Gandhi) মূল হাতিয়ার হচ্ছে জাতিগত জনগণনা। সব সভাতেই তিনি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ক্ষমতায় ফিরলে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই জাতিগত জনগণনা করানো হবে। একইভাবে কংগ্রেস দিল্লিতে ক্ষমতায় এলে গোটা দেশের জন্য একই সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে, জানিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
[আরও পড়ুন: প্রায় সাড়ে এগারো কোটি নাগরিকের প্যান কার্ড বাতিল করল কেন্দ্র, আপনারটা নেই তো?]
সমস্যা হল, রাহুলের এই জাতিগত জনগণনার প্রতিশ্রুতি এমনভাবে হাইলাইট করা হচ্ছে, তাতে ওই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসের রাজ্য সরকারের সাফল্য খাটো হয়ে যাচ্ছে। রাজস্থান এবং ছত্তিশগড় দুই রাজ্যেই কংগ্রেস সরকারের একাধিক জনমুখী প্রকল্প রয়েছে। রাজ্য নেতাদের একাংশের বক্তব্য, এই দুই রাজ্যেই দলীয় সরকারের কাজের জন্যই কংগ্রেস ভালো অবস্থায় আছে। দুই রাজ্যেই সামাজিক প্রকল্পগুলির এমনকী প্রধানমন্ত্রী মোদিও বিভিন্ন সময় প্রশংসা করেছেন। কিন্তু প্রচারে সেগুলি খানিক আড়ালে চলে যাচ্ছে জাতিগত জনগণনার চাপে।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধের নিষ্ঠুর ছবি গাজায়, অন্ধকার হাসপাতালে মৃত্যুর মুখে ৪৫ শিশু!]
কংগ্রেস (Congress) নেতাদের একাংশের বক্তব্য, জাতীয় স্তরের নির্বাচনে নিঃসন্দেহে জাতিগত জনগণনা বড় ইস্যু। তাতে বিজেপিকে চাপে ফেলাও যাবে। কিন্তু রাজ্য নির্বাচনে হীতে বিপরীতে হতে পারে। যদিও প্রকাশ্যে কিছু বলার সাহস কেউ দেখাচ্ছেন না।