অভিরূপ দাস: খাতায় কলমে নেই। কিন্তু বাস্তবে গিজগিজ করছে। খাটাল বা গোশালা নিয়ে আপাতত এমনই অবস্থা মহানগরের। ট্যাংরা, তিলজলা, মুকুন্দপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই গরু, মোষের খাটাল। ফি মাসে একের পর এক অভিযোগও আসে পুরসভায়। কারও অভিযোগ, খাটাল এলাকা অত্যন্ত নোংরা হওয়ায় সেখানে মশা, মাছির উৎপাত। কেউ বলছেন, জনবহুল এলাকায় পরিচ্ছন্নতা নষ্ট করছে খাটাল। পুলিশের সাহায্য নিয়ে, এবার সমস্ত গোশালাকে কল্যাণীতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা (KMC)।
পুরসভা সূত্রে খবর, একাধিকবার পুর স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে নোটিস দেওয়া হলেও তাতে কান দিচ্ছেন না খাটাল মালিকরা। এবার শহরের সমস্ত খাটালের ঠিকানা কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে পাঠাতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “শহরজুড়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে কোন এলাকার খাটালে কতগুলি গবাদি পশু রয়েছে। পুর স্বাস্থ্যদপ্তর ফের একবার নোটিস দেওয়া হবে। পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারকে আমরা চিঠি দেব।”
[আরও পড়ুন: ‘আর একটাও মৃত্যু নয়’, ডেঙ্গু নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, জারি নির্দেশিকা]
শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শৈলেশ রায় খাটাল নিয়ে অভিযোগ করেন মেয়রকে। ৪৩ নম্বর তিলজলা রোডের বাসিন্দা শৈলেশবাবুর অভিযোগ, এলাকায় নিকাশির জন্য নতুন পাইপ বসেছে। কিন্তু গরু, মোষের খাটালের নিকাশির লাইন সেই পাইপে সংযোগ করে দেওয়া হয়েছে। শৈলেশবাবুর কথায়, “নতুন পাইপ বসিয়ে কী লাভ হল? খাটালের বর্জ্যতে তো আবার নিকাশির রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।”
মেয়র জানিয়েছেন, “পুলিশকে বিষয়টা বলতে হবে। এভাবে যদি খাটালের লাইন নিকাশি ব্যবস্থার মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তো এলাকার জল কখনওই নামবে না।” জানা গিয়েছে, একটা নয়। ৭২ নম্বর তিলজলা রোড, ৫ নম্বর তিলজলা রোড, ৫৩ নম্বর তিলজলা রোডে একের পর এক খাটাল। পুর কমিশনার বিনোদ কুমারকে এদিন মেয়র প্রশ্ন করেন, “এই খাটাল কে সরাবে?” দ্রুত ঠিক হয়, তিলজলা রোডে অভিযান শুরু করবে কলকাতা পুরসভা। বেছে বেছে সমস্ত খাটালকে নোটিস দেওয়া হবে। এদিন অভিযানে স্থানীয় থানার সাহায্য নিতে বলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন আগে দেখুন কোন কোন জায়গায় খাটাল রয়েছে। তাদেরকে নোটিস দিন।