সুব্রত বিশ্বাস: গরু পাচারে (Cattle smuggling) দিল্লি থেকে ধৃত এনামুল হককে শনিবার শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিল দিল্লির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এদিন তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনার প্রস্তুতি নিয়েছিল সিবিআই। সে কারণে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এনামুলকে জামিন দিলেও সোমবার তাকে কলকাতায় এসে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে এই বিশেষ আদালত।
[আরও পড়ুন: টুইটে ‘মিথ্যে’ কথা উল্লেখ, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিলীপের]
শুক্রবার ভোরে দিল্লির একটি হোটেল থেকে এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও বসিরহাট সীমান্ত এলাকায় কয়েকজন ব্যবসায়ীর উপর নজরদারি শুরু করেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা। দু’দিন আগে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের বাড়ি, ব্যবসায়ী রাজন পোদ্দারের মানিকতলার বাড়ি ও তিন জেলায় সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বিএসএফ ও শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের যোগসাজশে সীমান্তে আটক গরুগুলিকে রুগ্ণ ও ছোট দেখিয়ে কম টাকায় কিনে নেওয়ার সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিল এনামুল হক। এদের দেওয়া টাকায় সমৃদ্ধ হচ্ছিলেন বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমার ও শুল্ক আধিকারিকদের একাংশ। এমনকী এনামুলের সংস্থায় সতীশ কুমারের ছেলে কাজও করেন বলে জানা যায়।
এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গরু পাচার ব্যবস্থাকে বলীয়ান করার পাশাপাশি অনেক রাঘব বোয়ালদেরও পকেট ভারিয়েছেন। বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহলে জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার দিল্লির এক হোটেলে হানা দিয়ে অভিযুক্ত এনামুলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তবে শনিবার শর্ত সাপেক্ষে আদালত তাকে জামিন দিয়ে দিল। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কলকাতায় এই ঘটনাতেই শুল্ক দপ্তরের আধিকারিক-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। গোটা চক্রের জাল খুলে ধীরে ধীরে এগোচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।