সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবি মুক্তির আগে থেকেই বিতর্কের মুখে। গত শুক্রবার এই ছবি মুক্তি পাওয়া পর বিতর্কের আগুন যেন আরও তীব্র হয়ে উঠল। আর সেই আগুনে যেন বারুদ দিল বাংলায় এই ছবি নিষিদ্ধ হওয়ার ঘোষণা। অন্যদিকে, বক্স অফিসে সাড়া ফেলেছে এই ছবি। ইতিমধ্য়েই ৫৬ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে এই ছবি। হিসেব বলছে দ্রুত ৬০ কোটির ব্যবসা পেরিয়ে যাবে এই ছবি।
বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনার বিরোধিতা করছেন সিনেমাশিল্পের সঙ্গে যুক্ত বহুমানুষেরাই। বাংলায় এই ছবি নিষিদ্ধ হওয়ার পর আইনি পথেই হাঁটবে জানিয়েছে এই ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন। এমনকী, এই ঘটনার বিরোধিতা করেছে সর্বভারতীয় প্রোডিউসার গিল্ডও। আর এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন, সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের সদস্য এবং অভিনেতা বাণী ত্রিপাঠী। বাংলায় দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বাণী ত্রিপাঠী জানান, ‘উনি দর্শকদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করছেন। আর এটা কিন্তু প্রকারান্তরে ছবির ভাগ্য নির্ধারণ করছে। উনি সেটা করতে পারেন না। আমিও সেটা করতে পারি না। এমনকি এই ছবির প্রযোজকও সেটা পারেন না। এটা একমাত্র ঠিক করতে পারেন দর্শকরা। দর্শকদের উপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত, তাঁরা ছবি দেখবেন, নাকি দেখবেন না!
অন্যদিকে, চেন্নাইয়ে একটি সিনেমা হলে পুলিশি হস্তক্ষেপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দ্য কেরালা স্টোরির প্রর্দশন। খবর অনুযায়ী, এই স্ক্রিনিংয়ে আমন্ত্রিত ছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা।
[আরও পড়ুন: কুন্তলের চিঠিতে অভিষেকের নাম, তদন্তে TMC সাংসদকে সহযোগিতার পরামর্শ হাই কোর্টের]
প্রসঙ্গত, সংবাদ সংস্থাকে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র পরিচালক সুদীপ্ত সেন জানিয়েছেন, ”এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছবি না দেখেই নিষিদ্ধ করেছেন। বাংলায় এই ছবি দেখানোর জন্য কোথাও, কোনওরকম সমস্যা হয়নি। এই ছবি নিষিদ্ধ করার নেপথ্যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব ছাড়া আর কিছুই নয়।” সুদীপ্ত সেন আরও বলেন, ”মমতাদির কাছে আমার একটাই অনুরোধ। ছবিটা আগেই দেখুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন।”