সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলাজ নিহালানির কাঁচির চোখরাঙানির সামনে পড়েছে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির ‘বাবুমশাই বন্দুকবাজ’ ছবিটি। মোট ৪৮ জায়গায় কাটাকুটির পর তবে ছবি মুক্তির ছাড়পত্র পাবে। এমনটাই জানিয়েছে সেন্সর বোর্ড। সে তো গেল। কিন্তু ছবি বানানোর জন্য রীতিমতো হেনস্তার মুখে পড়তে হল প্রযোজক কিরণ শ্রফকে। সেন্সর বোর্ডের এক কর্তা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, একজন মহিলা হয়ে এমন ছবি তৈরি করেন কীভাবে?
[ কৃষ্ণাঙ্গ মডেলের সঙ্গে ভাইরাল দীপিকার নগ্ন ছবি, চাঞ্চল্য নেটদুনিয়ায় ]
ছবির প্রযোজিকা কিরণ শ্রফ সম্প্রতি সে অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। ছবি দেখার পর সেন্সর কর্তারা ঘণ্টাখানেক নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। তারপর প্রযোজিকাকে ডেকে পাঠান। তিনি সামনে গেলেই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘একজন মহিলা হয়ে কীকরে এরকম ছবি বানিয়েছেন তিনি?’ তখন এক পুরুষ কর্তা বলেন, ‘উনি তো মহিলা নন। দেখছেন না কীরকম পোশাক পরেছেন।’ এই কথায় চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করেন প্রযোজিকা। সামনে সেন্সরেরই এক মহিলা কর্মী বসেছিলেন। তাঁরও পরনে ছিল একইরকম পোশাক। পালটা প্রশ্ন তুলতে গিয়েও চুপ করে যান কিরণ। পরে তিনি জানিয়েছেন, প্রযোজকদের এরকম অনেক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। কিন্তু তাঁর প্রশ্ন, একজন মহিলাকে যদি সেন্সর কর্তারা তাঁর পোশাক দিয়ে বিচার করেন, তাহলে কোন মানসিকতা নিয়ে ছবির বিচার হয়?
[ ফোনে লাগাতার রাতের শয্যাসঙ্গী হওয়ার ‘অফার’, পুলিশের দ্বারস্থ কোয়েনা ]
ছবিটিকে গোড়াতেই অ্যাডাল্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কেন এতগুলি কাটাকুটি সে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যথারীতি সদুত্তর মেলেনি। জানা যাচ্ছে, চুম্বনের দৃশ্য ও কিছু শব্দ নিয়েই আপত্তি জানাচ্ছে সেন্সর বোর্ড। আর সেখানে সেখানেই কাঁচি চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত সিনেমাতেও কেন এত নিয়ন্ত্রণ? গোটা সিনেমহলই এ প্রশ্নের কোনও উত্তর পাচ্ছে না। কিন্তু পহেলাজের নেতৃত্বাধীন সেন্সর রাজে আপাতত এটাই ঘোর বাস্তবতা।
The post ‘একজন মহিলা হয়ে এমন ছবি তৈরি করেন কীভাবে?’ appeared first on Sangbad Pratidin.