সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই (CBI) । গত সপ্তাহে সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ও কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। যৌথ রিপোর্টও পেশ করার কথা বলা হয়। কিন্তু হাই কোর্টে যখন এই মামলা চলছে, তখন কেন নিম্ন আদালত এই নির্দেশ দিল? সোমবার এনিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে আবেদন জানায় সিবিআই। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) প্রেসিডেন্সি জেলে বসে অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ হেফাজতে তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। হেস্টিংস থানায় চিঠি লেখেন নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তল। চিঠির বয়ান মিথ্যা — এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হয় ইডি (ED)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি চলাকালীন সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে এজলাস পরিবর্তন হয়ে মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে যায়। সেখানেও সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ বহাল থাকে।
[আরও পড়ুন: পরনে শুধুই অন্তর্বাস! মন্দারমণির সমুদ্রসৈকতে তরুণীর দেহ উদ্ধারে জোর চাঞ্চল্য]
ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন কুন্তল ঘোষ। গত ৪ আগস্ট শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, হেফাজতে নির্যাতন সংক্রান্ত চিঠির অভিযোগে কোনও মতামত দেয়নি হাই কোর্ট। তাই বিশেষ আদালতে অভিযোগ জানাতে বাধা নেই কুন্তলের। তিনি চাইলে চিঠি বিশেষ আদালতে জমা দিতে পারেন। সেই মতো আলিপুরের বিশেষ আদালতে চিঠি লিখে আবেদন করেন বহিষ্কৃত তৃণমূল (TMC) নেতা।
[আরও পড়ুন: শেয়ার মার্কেটে চড়া সুদের লোভ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা, ধৃত বিশ্বভারতীর ছাত্রী]
এর আগে বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আরজি জানিয়েছিল সিবিআই। গত মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানায়, নিম্ন আদালতের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করা হবে না। সিবিআইয়ের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে আদালত মনে করছে। তাই তাদের আবেদনটি খারিজ করা হল। ফলে পুলিশ এবং সিবিআইয়ের যৌথ তদন্তের নির্দেশটি বহাল ছিল। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে এবার হাই কোর্টে গেল সিবিআই।