সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিএনবি কেলেঙ্কারিতে (PNB Scam) অভিযুক্ত পলাতক হীরা ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি (Mehul Choksi) ও তাঁর সংস্থা গীতাঞ্জলি ফার্মসের বিরুদ্ধে আরও একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করল সিবিআই (CBI)। ইন্ডস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স করপোরেশন অফ ইন্ডিয়াকেও (IFCI) মেহুল প্রতারণা করে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে ২২.৬ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে নতুন মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের সময়কালে এই প্রতারণা করে মেহুলের কোম্পানি।
আইএফসিআই একটি নন ব্যাংকিং ফিন্যান্স কোম্পানি (NBFC)। শনিবার সিবিআইয়ের করা এফআইআর (FIR) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ কোটি টাকা ঋণ নেয় চোকসি। সিবিআইয়ের দাবি, চোকসি ওই ঋণ শোধ করেনি। এফআইআর-এ সিবিআই উল্লেখ করেছে, ওই অর্থের বিনিময়ে চোকসি যে হীরে বন্ধক রেখেছিল আর্থিক সংস্থায়, তা ছিল ল্যাবোরেটরিতে তৈরি নকল হীরে। বন্ধক রাখা হীরে বিক্রি করতে গিয়ে বিষয়টি সামনে আসে।
[আরও পড়ুন: কোভিডের আরও ভয়ংকর রূপ দেখবে দুনিয়া, আশঙ্কা প্রকাশ বিল গেটসের]
এরপর চোকসির কোম্পানির ২০,৬০, ০৫৪টি বন্ধক রাখা শেয়ার বিক্রি করে টাকা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করে আইএফসিআই। কিন্তু সেক্ষেত্রে ৪.০৭ কোটি টাকার মাত্র ৬,৪৮,৮২২টি শেয়ার বিক্রি করা সম্ভব হয়। যেহেতু চোকসির ক্লায়েন্ট আইডি ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেড স্থগিত করে দেয়।
[আরও পড়ুন: ইদের দিন হনুমান চালিশা পাঠ নয়, দলীয় কর্মীদের শান্তির বার্তা রাজ ঠাকরের]
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে দেশ ছাড়েন চোকসি। তার কয়েকদিনের মধ্যেই এই হীরে ব্যবসায়ীর নামে আর্থিক তছরুপ ও প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের জাল ‘লেটার অফ আন্ডারটকিং’ দেখিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে মেহুল ও তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদীর বিরুদ্ধে। পরে জানা যায়, অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিয়ে সেই দ্বীপেই আস্তানা গেড়েছেন মেহুল চোকসি। সেদিন থেকে এখনও পর্যন্ত চোকসি আর ভারতে পা রাখেননি। কিন্তু গতবছর অ্যান্টিগা থেকে কিউবা যাওয়ার পথে তাঁকে ডোমিনিকায় আটক করা হয়। জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর ছবি প্রকাশ্যে আসে। এরপরই চোকসিকে দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত তা সম্ভব না হলেও পলাতক ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরাতে মরিয়া কেন্দ্র।