সুব্রত বিশ্বাস: ২০১০ সালের দুর্ঘটনার পর ২০১৭ সালে কলকাতায় (Kolkata) এসেছিল জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় ‘মৃত’ অমৃতাভ চৌধুরি। এই সাত বছর কোথায় ছিলেন তিনি? সদুত্তর পায়নি সিবিআই (CBI)। এছাড়া অমৃতাভের বয়ানেও রয়েছে অসঙ্গতি। তাই শেষপর্যন্ত তাঁকে আটক করেছে তদন্তকারী কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
রবিবার রাতভর অমৃতাভের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলে। তবে সব চেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয় তাঁর বয়স নিয়ে। মৃত অমৃতাভের ডেথ সার্টিফিকেটে জন্ম সাল ১৯৮২ রয়েছে। ধৃত অমৃতাভের বয়স অন্তত দশ বছরের কম হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে। সার্টিফিকেটের গরমিল নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। ডিএনএ রিপোর্ট কোথা থেকে বানিয়ে ছিল অমৃতাভ? এর পেছনে কারা কারা রয়েছে? এ নিয়েও এদিন জেরা করা হয়েছে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ব্যাটিং অব্যাহত বর্ষার, চলতি সপ্তাহেও বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের]
পাশাপাশি রেল কোন পদ্ধতি এবং কিসের ভিত্তিতে চৌধুরী পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দিয়েছিল তা নিয়েও রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই। অমৃতাভর বোনকে রেলে চাকরি দেওয়ার জন্য কি পদক্ষেপ করেছিল রেল, তাও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। রেল কর্মীদের একাংশের জড়িয়ে থাকার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছে না সিবিআই। এনিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের পার্সোনাল বিভাগের কর্তাদের কপালেও। মূলত ওয়েলফেয়ারের বিষয়টি তারাই দেখেন। অর্থ অনুমোদন করে রেলের কমার্শিয়াল ও ফাইন্যান্স বিভাগ। ফলে তদন্তে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, অমৃতাভ চোধুরী বোন মহুয়া চৌধরী পাঠক শিয়ালদহ (Sealdah) সিগন্যাল বিভাগে ‘মৃত’ দাদাকে দেখিয়ে চাকরি নেওয়ায় তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্যদিকে আবার রেলের একশ্রেণীর কর্মীরা বিষয়টি উসকে দিয়ে মহুয়ার ফেসবুক (Facebook) প্রোফাইল, ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়েছে। যা নিয়ে আবার দেখা দিয়েছে নয়া বিতর্ক।