অর্ণব আইচ: এনামুল হক, সতীশ কুমার, বিনয় মিশ্র, বিকাশ মিশ্র – গরু ও কয়লা পাচার (Cattle and Coal scam) মামলায় এই নামগুলি বহু আলোচিত। যত দিন যাচ্ছে, হাইপ্রোফাইল এসব মামলায় যোগ হচ্ছে আরও নাম। প্রায় রোজই নয়া মোড় নিচ্ছে তদন্ত। এবার গরু পাচার মামলার সঙ্গে হাওয়ালা যোগ খুঁজে পেলেন সিবিআই (CBI) তদন্তকারীরা। মনোজ সানা নামে এক হাওয়ালা ব্যবসায়ী মারফত টাকা লেনদেন হত বলে জানা গিয়েছে। এনামুলের ঘনিষ্ঠ মনোজ, এমনই জানা গিয়েছে।
লক্ষ-কোটি টাকার লেনদেন। সীমান্তে গরু চোরাচালানের সেই টাকার বখরা যে কতজন পেত, তার চুলচেরা হিসেব বোধহয় এখনও হাতে পাননি সিবিআই তদন্তকারীরা। এই তদন্তের জাল কতদূর বিস্তৃত, তার নাগাল নেই এখনও। এনামুল হক, সতীশ কুমারদের সঙ্গে এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ও তার দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও জড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁরা আপাতত সিবিআই হেফাজতে। অনুব্রতর বিরুদ্ধে দেওয়া একটি চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে মনোজ সানা নামে একজনের নাম। কে এই মনোজ সানা? তারই সন্ধানে নেমেছে সিবিআই।
[আরও পডুন: কবে মিলবে নিয়োগপত্র? মা লক্ষ্মী সেজে ধরনামঞ্চে অভিনব প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের]
জানা গিয়েছে, মনোজ সানা একজন হাওয়ালা কারবারি। কলকাতা, মুর্শিদাবাদ এলাকায় হাওয়ালার মাধ্যমে লেনদেন হত, তার মূল পান্ডা এই মনোজ। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ব্যবসায়ী, গরু পাচারের অন্যতম মূল চক্রী এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ মনোজ। গরু পাচারের টাকা প্রথমে যেত মনোজের কাছেই। তারপর তা বণ্টন করা হত নানা জায়গায়। অনুব্রত, সায়গল হোসেনরাও নাকি টাকা পেতেন মনোজ মারফত।
[আরও পডুন: প্রথমবার বাবা হলেন রাফায়েল নাদাল, ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিলেন স্ত্রী মেরি]
এদিকে, সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি (ED)। কিন্তু আসানসোলের জেলা ভেসেশনাল কোর্টে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সায়গলকে করা ইডির শোন অ্যারেস্টও (Shown Arrest) বাতিল হয়ে যায়। রবিবার সকাল ১১ টা ১০ নাগাদ ইডির দুই প্রতিনিধি দল সায়গলের আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছয়। তাকে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করিয়ে নেয়। রবিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিশেষ আদালতে এই মামলাটি নিয়ে পিটিশন জমা দিয়েছে ইডি। তবে হাই কোর্টে জরুরি শুনানির আবেদন জানানো হলেও এদিন শুনানি হয়নি। আগামী মঙ্গলবার সায়গলকে হেফাজতে নেওয়া যাবে কি না, তার শুনানি হবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে।