সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) সময়টা মন্দ যাচ্ছে না। শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও একের পর এক আইনি জটিলতা থেকে রেহাই পাচ্ছেন তিনি। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে বছর তিনেক জেল খাটার পর জামিন পেয়ে গিয়েছেন আরজেডি নেতা। এবার আরও একটি বড়সড় কেলেঙ্কারিতে কার্যত ক্লিনচিট পেয়ে গেলেন তিনি। প্রমাণের অভাবে ডিএলএফ ঘুষ কেলেঙ্কারিতে (DLF bribery case) লালুর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
কী এই ডিএলএফ ঘুষ কেলেঙ্কারি? এই তথাকথিত কেলেঙ্কারির সূত্রপাত লালুপ্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী (Railway Minister) থাকাকালীন। দেশের অন্যতম বৃহৎ রিয়েল এস্টেট সংস্থা ডিএলএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা মুম্বই-বান্দ্রা রেল প্রজেক্টের জমি লিজ পাওয়ার জন্য এবং নিউ দিল্লি রেল স্টেশন বানানোর ঠিকা পাওয়ার জন্য তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে ঘুষ দেয়। এই চুক্তি এবং লিজ পাইয়ে দেওয়ার পরিবর্তে উপঢৌকন হিসেবে দক্ষিণ দিল্লির একটি জমি লালুর ছেলে তেজস্বী যাদব এবং দুই মেয়ে রাগিনি এবং চন্দ্রা যাদবেকে দান করে ডিএলএফেরই (DLF) শেল কোম্পানি এবি এক্সপোর্ট। ২০১৮ সাল থেকে এই মামলার তদন্ত করছিল সিবিআই। তদন্তে সিবিআই জানতে পারে, ডিএলএফ গ্রুপ এই ‘ভুয়ো’ সংস্থাটি তৈরি করে ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছিল মাত্র ৫ কোটি টাকায়। আবার ওই সংস্থাটির শেয়ার ২০১১ সালে লালুর তিন সন্তানের কাছে বিক্রি করে মাত্র ৪ লক্ষ টাকায়। ফলে প্রকারান্তরে মাত্র ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সেসময় প্রায় ৩০ কোটির সম্পত্তির মালিক হয়ে যান লালুর সন্তানরা। বর্তমানে এই সম্পত্তির মূল্য এর চেয়ে অনেক বেশি।
[আরও পড়ুন: করোনা কালেই আড়াই লক্ষ SBI কর্মী পেতে চলেছেন ১৫ দিনের অতিরিক্ত বেতন!]
আশ্চর্যজনক ভাবে পুরো কেলেঙ্কারির টাইমলাইন সাজিয়ে ফেললেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা লালুর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণই জোগাড় করতে পারেনি। ফলে এই মামলার তদন্ত থেকে আপাতত হাত গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে লালুর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় যে দুর্নীতির অভিযোগ, সেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতেও বড়সড় স্বস্তি পেয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এই কেলেঙ্কারির চারটি মামলাতেই জামিন পেয়েছেন তিনি।