সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের (EPFO) তিন অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা করল সিবিআই (CBI)। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ২ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা তছরুপের। গত বছর লকডাউনের (Lockdown) সময় মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত পিএফের টাকা তোলার নিয়মকানুন শিথিল করা হয়েছিল বাড়তে থাকা বেকারত্বের দিকে তাকিয়ে। সেই সুযোগেই অভিযুক্তরা ওই দুর্নীতি করেন বলে অভিযোগ। ইপিএফওর ভিজিল্যান্স দপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মামলা রুজু হয়েছে।
এই কেলেঙ্কারিতে মূল অভিযুক্তের নাম চন্দনকুমার সিনহা। তিনি কান্দিভালির স্থানীয় ইপিএফও অফিসের একজন সিনিয়র কর্মী। তাঁর দুই সঙ্গী উত্তম তাগারে ও বিজয়ারপে যথাক্রমে কোয়েম্বাটুর ও চেন্নাইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার। গত ১৮ মে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির সূত্রে প্রথম এই কারচুপির কথা জানতে পারে ইপিএফও দপ্তর।
[আরও পডুন: মোদির জন্মদিনে টিকাকরণে নজির গড়তে ভ্যাকসিন মজুত করছে বিজেপি! অভিযোগে সরব বিরোধীরা]
এরপরই শুরু হয় ইন্টারনাল অডিট। আর তখনই ধরা পড়ে কেলেঙ্কারির কথা। দেখা যায়, পেনশন ফান্ড থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা সরানো হয়েছে। এটাও পরিষ্কার হয়ে যায়, ভিতরের কোনও লোকই এই কাজ করেছে। অবশেষে ২৪ আগস্ট সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সূত্রানুসারে, অভিযুক্তরা সিস্টেম ও তার ফাঁকফোকর সম্পর্কে এত ভালো করে জানতেন যে তাঁরা অনায়াসে পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য ব্যবহার করে কারচুপি করতে শুরু করেছিলেন।
পরিযায়ী শ্রমিক ও দরিদ্রদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও আধার কার্ড কাজে লাগিয়ে ভুয়ো পিএফ অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিলেন অভিযুক্তরা। আর সেজন্য তাঁদের সামান্য ‘কমিশন’ দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করতে থাকেন অভিযুক্তরা। তাঁরা জানতেন, একমাত্র ৫ লক্ষ টাকার বেশি টাকা তুললেই সেই নথি সিনিয়র অফিসারদের কাছে যায় যাচাইয়ের জন্য। সেই কারণে ২ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার ‘ক্লেম’-এর মধ্যেই জালিয়াতি সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন অভিযুক্তরা।