সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাথমিক টেট (TET) দুর্নীতি মামলায় এবার আরও বিপাকে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সাতদিন ধরে তাঁর খোঁজ না মেলায় এবার লুকআউট নোটিস জারি করল সিবিআই (CBI)। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেক্ষেত্রে তাঁর নাগাল পেতে বিমানবন্দরগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে মানিকবাবু এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও নোটিস পড়েনি বলেই দাবি করেছেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি।
প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Primary TET Scam) অন্যতম অভিযুক্ত পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলার তদন্তের স্বার্থে তাঁকে একাধিকবার তলব করেছিল ইডি। অভিযোগ, মাত্র একবার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। বারবার হাজিরা এড়িয়েছেন মানিকবাবু। যাদবপুরের বাড়ি, ফ্ল্যাটে দেখা মেলেনি তাঁর। এমনকী, নদিয়ার (Nadia)পলাশিপাড়ার পৈতৃক বাড়িতেও নেই তিনি। গত একমাস ধরে তালা ঝুলছে সেই বাড়িতে। অভিযোগ, মানিক ভট্টাচার্য যে মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন তাতেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এসবের পর তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা ঠিক করতেই আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: মেঘালয়ে ট্যাক্সি ড্রাইভার খুন, গ্রেপ্তার ‘আই লাভ ইউ’]
সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে মানিকবাবুর একাধিক বাড়ির দরজায় নোটিস দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তদন্তকারীদের। তবে তা করা হয়নি শেষপর্যন্ত। বদলে বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা মানিকবাবুর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে তাঁর সম্পর্কে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে সিবিআই। মনে করা হচ্ছে, দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে তিনি দেশের বাইরে পালাতে পারেন। এখন লুকআউট নোটিস জারির ফলে তিনি আরও বিপাকে পড়লেন। দেশের যে কোনও বিমানবন্দরে তাঁর দেশছাড়ার সূত্র পেলেই নজরদারি বাড়ানো হবে।
[আরও পড়ুন: রুশদির উপর হামলার তীব্র নিন্দা ভারতের, দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিবৃতি দিল নয়াদিল্লি]
শুধু মানিক ভট্টাচার্য নয়, এর আগে দুর্নীতি মামলায় তাঁর স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ এবং মেয়ের (বিবাহ পর্যন্ত) সম্পত্তির হিসাবও হলফনামার আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব তলব করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। কিন্তু সহযোগিতা করেননি বলেই অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।