সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় পাঁচ বছর পর নারদ কাণ্ড (Narada Case) নিয়ে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের চার মন্ত্রী-বিধায়কের গ্রেপ্তারি নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। বুধবার পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকতে হবে ধৃত চার হেভিওয়েটকে। তবে নারদ মামলায় ধৃত মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ। তাঁরা তিনজনেই ভরতি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। উডবার্ন ওয়ার্ডে আপাতত শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের।সূত্রের খবর, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করতে পারেন তাঁরা। তা আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
নারদ মামলার জাল গোটাতে তৎপর সিবিআই (CBI)। সোমবার সাতসকাল থেকেই চলছে টানাপোড়েন। প্রথমে চেতলার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ফিরহাদ হাকিমকে। তার কিছুক্ষণ পর একে একে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন তৃণমূল ও বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়ক-সহ চারজনের গ্রেপ্তারিতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। করোনা রুখতে রাজ্যে জারি হওয়া বিধিনিষেধকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভের ঘটনার রিপোর্ট ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এমনকী ভিডিও ফুটেজও পাঠানোর কথা। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো বিস্তারিত রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির দপ্তরেও পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া সিআরপিএফের তরফেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বিক্ষোভের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপাল ধনকড়ের অপসারণ চেয়ে এবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন মুখ্যমন্ত্রী]
এদিকে, সোমবার রাতে জেল হেফাজতের নির্দেশের পর থেকে আপাতত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম । জানা গিয়েছে রাতের খাবার খাননি তিনি। সকালে চা ছাড়া কোনও খাবারই খাননি ফিরহাদ। মঙ্গলবার সকালে আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর কাছে যান মেয়ে সাবা হাকিম। বাবার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁর।