অর্ণব আইচ: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Teacher Recruitment Scam) কি রাজসাক্ষী হতে পারেন কুন্তল-তাপস-নীলাদ্রি? সিবিআই (CBI) রাজি থাকলে যে তাঁদেরও বিশেষ আপত্তি নেই, আদালতে সেই ইঙ্গিত দিলেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। যদিও রাজসাক্ষী হওয়ার ব্যাপারে যে হুগলির যুব তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষ বিশেষ ইচ্ছুক নন, আদালতের লকআপে যাওয়ার তা জানিয়ে দেন তিনি। সেই ক্ষেত্রে সিবিআই রাজি হলে তবেই তাপস মণ্ডল ও তাঁরই সঙ্গী নীলাদ্রি ঘোষ হতে পারেন রাজসাক্ষী।
বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষকে পেশ করা হয়। তাঁদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানান। জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে তিন অভিযুক্তকেই ২৩ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি (ED) দপ্তরে তলব করা হয়েছে হুগলির আর এক তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি কুন্তলের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিংহ ও এজেন্ট আবদুল খালেককে জেলে গিয়ে জেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই। এই ব্যাপারে সোমবার শুনানি হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ডিএ ধর্মঘট রুখতে আরও কড়া নবান্ন, চার বেলা হাজিরা খাতায় সইয়ের নির্দেশ]
বৃহস্পতিবার আদালতে নীলাদ্রি ঘোষের আইনজীবী জানান, নীলাদ্রি কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) ও তাপস মণ্ডলের মধ্যস্থতাকারী ছিলেন মাত্র। তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। জেলে গিয়ে তাঁকে জেরাও করেনি সিবিআই। তাই তাঁকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। তাপস মণ্ডলের (Tapas Mandal) আইনজীবী জানান, নিজেদের হেফাজতে রাখার সময়ও মোট এক ঘণ্টার বেশি তাপসকে জেরা করেনি সিবিআই। বলা হয়েছে যে, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে তাপস কুন্তলকে দিয়েছেন। অথচ তাঁকে জেল হেফাজতে জেরা করা হয়নি। কুন্তল ঘোষের আইনজীবী জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অজ্ঞাতপরিচয় কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। অথচ কতজন কর্মীকে জেরা করা হয়েছে? তাঁরা কেউ ‘বিদেহী’ নন। তাহলে তাঁদের ধরে নিয়ে আসা হয়নি কেন? কুন্তল প্রভাবশালী হলে এভাবে গ্রেপ্তার হতেন না। তাঁকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই।