গোবিন্দ রায়: দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই-ইডির হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের (TMC) তিন বিধায়ক। এবার টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগে রাজ্যের শাসকদলের আরও এক বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI) তদন্তের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরজি মেনে বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ, আদালতের নির্দেশের ১৪ দিনের মধ্যে বর্তমান তদন্তকারী অফিসার তদন্ত সংক্রান্ত সমস্ত কাগজ সিবিআইকে হস্তান্তর করবেন। ওই কাগজ পাওয়ার পরই সিবিআই তদন্ত শুরু করবে। যদিও বিধায়কের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করা হয়েছে। আইনি পদক্ষেপ করবেন বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধের সুদানে মৃত পেরল ২০০, সেনাপ্রধানকে ফোনে সংঘর্ষবিরতির বার্তা মার্কিন বিদেশসচিবের]
সম্প্রতি একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসে। নদিয়ার জেলাপরিষদের সদস্যা টিনা ভৌমিক সাহা সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করে, স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন তাপস সাহা। এমনকী দমকলে নিয়োগের ক্ষেত্রেও তাপসবাবু জালিয়াতি করেছেন বলেই অভিযোগ। ওই অডিও ক্লিপিং টুইট করেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখা। কিন্তু সেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় খুশি ছিলেন না মামলাকারীরা।
তাঁদের তরফে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়। আপত্তি করেছিল রাজ্য়। কিন্তু সেই আপত্তি ধোপে টিকল না। প্রসঙ্গত, এর আগে টেট দুর্নীতির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হন পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। একই অভিযোগে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন বড়ঞাঁর বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এবার আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে সিবিআই।