সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অনুব্রতকন্যা (Anubrata Mandal) সুকন্যা মণ্ডলকে নোটিস সিবিআইয়ের। ব্যবসা ও আয় সংক্রান্ত সমস্ত নথি তলব করা হয়েছে তাঁর কাছে। এদিকে বোলপুরের রতনকুঠিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির প্রাক্তন এক পরিচারককে।
গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের পর একের পর তাঁর সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধেও। সেই কারণে এর আগেও অনুব্রত কন্যাকে জেরা করেছে সিবিআই। ঘণ্টা খানেক প্রশ্নোত্তর পর্বে কী উঠে এসেছে সে বিষয়ে এখনও গোপন। এবার ফের সুকন্যাকে নোটিস ধরাল সিবিআই। শুক্রবার বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে গিয়ে সিবিআই নোটিস দিয়ে এসেছে বলে খবর। পাশাপাশি, রতনকুঠিতে অনুব্রতর প্রাক্তন পরিচারক জ্যোতির্ময় দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাঁর অ্যাকাউন্টে বেনামে টাকা রাখা হয়েছিল কি না, অথবা তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছিল কি না, সে বিষয়েই কথা বলা হচ্ছে। কারণ, ওই যুবকের অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। এর পাশাপাশি এদিন দুই ব্যাংককর্মীকেও জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ ৩ জনের মৃত্যুতে উত্তাল উলুবেড়িয়া, দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভে সহকর্মীরা]
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক সংস্থার হদিশ পায় সিবিআই। যার নথিতে অন্যতম অংশীদার হিসাবে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এইসব বিষয়গুলি নিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, সুকন্যার নামে থাকা একটি অ্যাগ্রো কেমিক্যাল সংস্থার ২৫ শতাংশ অংশীদার অনুব্রত, ৭৫ শতাংশ সুকন্যার। অভিযোগ, এই সংস্থার আড়ালে একাধিক রাইস মিলেরও হদিশ মিলেছে। যার মধ্যে ভোলেবোম-সহ তিন থেকে চারটি রাইসমিল রয়েছে। তদন্তকারীরা গোড়া থেকেই অনুমান করছিলেন, গরু পাচারের টাকার বড় অংশ এই ধরনের ব্যবসায় খাটানো হয়েছে অনেক আগেই। যার হদিশও তাঁরা পেয়েছেন বলে দাবি।
সূত্রের দাবি, ২০১৭ সালে যখন অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ও মেয়ে এই সংস্থার ডিরেক্টর হন, তখন সংস্থার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৭২ হাজার টাকা। অনুব্রতর কন্যা ও স্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর, ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সংস্থার উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে, এক-এক বছরে সম্পদ বেড়েছে চার থেকে ছ’কোটি টাকা। এবার ব্যবসার নথি চেয়েই অনুব্রতকন্যাকে নোটিস ধরাল সিবিআই।