সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সন্দেশখালিতে সিবিআই। শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুটি দল শাহজাহানের এলাকায় পৌঁছয়। একটি দল যায় সন্দেশখালি থানায়। আরেকটি ন্যাজাটের সুন্দরীখালি এলাকায় যায়। জমিহারাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ওই এলাকায় সিবিআই আধিকারিকরা গিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
গায়ের জোরে জমি, ভেড়ি দখলের হাজারো অভিযোগ রয়েছে সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali)। সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দা মোহন্ত সর্দারও একই অভিযোগ করেন। দাবি, তাঁর জমিজমা জোর করে লুট করেছে শাহজাহান বাহিনী। শাহজাহানের ভাই আলমগিরের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে। 'জমিহাঙর'দের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই শনিবার সকালে তদন্তকারীরা সন্দেশখালিতে পৌঁছন বলেই খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি, ভেড়ি লুটপাট সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য সিবিআইয়ের হাতে এসে পৌঁছেছে। সেই সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে থানাতেও যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: আদালতে চলছে ট্রাম্পের বিচার, বাইরে গায়ে আগুন দিলেন যুবক!]
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। সেদিন শাহজাহানের খোঁজ মেলেনি। ডেরায় পৌঁছে শাহজাহানকে একাধিকবার ফোন করেন আধিকারিকরা। বেশ কিছুক্ষণ পর ফোন ধরেন শাহজাহান। তাঁর অনুগামীদের হামলার শিকার হন আধিকারিকরা। ঝরে রক্ত। এই ঘটনার পর সাম্রাজ্য ছেড়ে গা ঢাকা দেন সন্দেশখালির 'ত্রাস'। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি, ভেড়ি লুটপাটের অভিযোগে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মহিলারা। অবশেষে ৫৫ দিনের মাথা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন শেখ শাহজাহান। বর্তমানে ইডির উপর হামলার ঘটনা-সহ যাবতীয় মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। শনিবার জমিজমা লুটপাট সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে সন্দেশখালিতে সিবিআই আধিকারিকরা।