সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশিত হল ২০১৮ সালের সিবিএসই-র দশম শ্রেণির ফলাফল। দ্বাদশের মত দশম শ্রেণিতেও পাশের হারে ছাত্রদের টেক্কা দিল ছাত্রীরা। মোটের উপর পাশের হার ৮৬.৭ শতাংশ। যা গতবারের তুলনায় প্রায় ৪.২৫ শতাংশ কম। মেয়েদের মধ্যে পাশের হার ৮৮.৬৭ শতাংশ। ছেলেদের পাশের হার ৮৫.৩২ শতাংশ। পাশের হার সবচেয়ে বেশি তিরুবনন্তপুরমে। কেরলের এই শহরটিতে ৯৯.৬০ শতাংশ পরীক্ষার্থী সফল হয়েছেন। পাশের হারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই। চেন্নাই থেকে সফল হয়েছেন ৯৭.৩৭ শতাংশ পড়ুয়া। তৃতীয় স্থানে আজমেঢ়। আজমেরের ৯১. ৮৬ শতাংশ পড়ুয়া সফল হয়েছেন। তবে, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর পাশের হার কম। এরাজ্যের সম্ভাব্য প্রথম সৌরিৎ হালদার । ৫০০-র মধ্যে ৪৯৬ পেয়েছেন ডিপিএস কলকাতার ছাত্র।
[এবার স্কুলের পাঠ্যবইয়ে নরেন্দ্র মোদির ছবি! তীব্র আপত্তি বিরোধীদের]
৫০০-র মধ্যে ৪৯৯ পেয়ে সম্ভাব্য প্রথম স্থান দখল করেছে ৪ জন। চারজনের মধ্যে তিনজনই মেয়ে । সাম্ভাব্য প্রথম গুরগাঁওয়ের দিল্লি পাবলিক স্কুলের ছাত্র প্রখর মিত্তল। সম্ভাব্য প্রথমের তালিকায় রয়েছেন, বিজনৌরের আর পি পাবলিক স্কুলের ছাত্রী রিমঝিম আগরওয়াল। রয়েছেন, নন্দিনী গার্গ, তিনি শামলির স্কটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্রী। সম্ভাব্য প্রথমের তালিকায় নাম করেছে কোচিনের ভবন বিদ্যালয়ের শ্রীলক্ষ্মী জিও।
[‘ঈশ্বর’ই আমার মেয়েকে ধর্ষণ করল, সাজাপ্রাপ্ত আসারামের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নির্যাতিতার মা]
সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ বা তাঁর বেশি নম্বর পেয়েছেন মোট ২৭ হাজার ৪৭৬ জন । ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৪৯৩ জন পড়ুয়া পেয়েছেন ৯০ শতাংশ বা তাঁর বেশি নম্বর। এবছর দশম শ্রেণিতে প্রায় ১৬ লক্ষ পড়ুয়া পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সিবিএসইতে সফল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি বলেন, ‘দশম শ্রেণির পরীক্ষা মূলত দ্বাদশের পরীক্ষার প্রস্তুতি। যারা সফল হল তাদের শুভেচ্ছে, যারা সফল হতে পারেনি আশা করি তারা আরও ভাল প্রস্তুতি নেবে এবং নিশ্চিতভাবে আগামিদিনে সফল হবে।’ সফল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
[বলির হাত থেকে দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে নায়ক মসজিদের ইমাম]
উল্লেখ্য, দশম শ্রেণির পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। আসরে নেমেছিল রাজনৈতিক দলগুলিও। দশম শ্রেণির অঙ্কের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। তবে, দীর্ঘ বিক্ষোভের পরও নতুন করে পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড।