সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড (COVID-19) রোগীর অক্সিজেন (Oxygen) সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় অভিযোগে বৃহস্পতিবার উত্তাল হল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) শিবপুরীর সরকারি হাসপাতাল। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজধানী ভোপাল (Bhopal) থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই হাসপাতালের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ এনে আঙুল তুললেন কোভিড রোগীর পরিবার। এক মিনিটের সিসিটিভি ক্যামেরার একটি ফুটেজও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সামনে তুলে ধরেছেন তাঁরা। যা খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে যথাযথ শাস্তিও দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বছর ঘুরতেই আবার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। এবং এবার আরও দ্রুত গতিতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্তের সঙ্গে দিনে দু’লক্ষের বেশি। দেশের নানা প্রান্ত থেকে কোভিড সংক্রান্ত অপ্রীতিকর ঘটনার খবর শিরোনামে আসছে। কোথাও হুইলচেয়ারেই অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। কোথাও আবার অক্সিজেনের পাইপ খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। স্বাভাবিক ভাবে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা আশল ছবিটা সামনে আসছে।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর রঞ্জিত সিনহা]
শিবপুরী হাসপাতালের ওই কোভিড রোগীর ছেলে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তিনি হাসপাতালেই ছিলেন। তারপর বাড়ির জন্য রওনা দেন। পরদিন সকালে হাসপাতাল থেকে তাঁকে ফোন করে বাবার শারীরিক অবনতির কথা জানানো হয়। হাসপাতালে পৌঁছে তিনি দেখেন তাঁর বাবা কাতরাচ্ছেন, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ। কর্তব্যরত নার্সকে দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহের অনুরোধ করলেও তা করা হয়নি। তার ফলে অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে। তাঁকে আইসিইউ-এ ভর্তি করা হয়। তারপর ১৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি মারা যান।
পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, হাসপাতালে অক্সিজেন দেওয়ার পর থেকে তাঁদের বাবা ভালই উন্নতি করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ কেন অক্সিজেন সরবারহ বন্ধ করা হল, সে প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি। ওই এক মিনিটের ভিডিওতে কোনও স্বাস্থ্যকর্মীকে পিপিই কিট পরতেও দেখা যায়নি।
[আরও পড়ুন: দুই সন্তানই কন্যা, পুত্র না হওয়ায় স্ত্রীর উপর অ্যাসিড হামলা স্বামীর]
হাসপাতালের তরফে গোটা ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল তৈরি করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত দল রিপোর্ট জমা ডেবে। হাসপাতালের মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার জানান, শিবপুরী হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতির কোনও রকম অবস্থা তৈরি হয়নি। কে বা কারা কেন অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেবে, তা নিয়ে সন্দিহান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।