সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। এই প্রবাদটি সামান্য একটু পালটে নিলে বলাই যায়, যে ঘরকন্না সামলায়, সে ব্যবসাও সামলায়। শুধু সামলানো নয়, রীতিমতো নিজেদের স্ট্র্যাটেজিতে নয়া নয়া কীর্তি ঘটিয়েছেন বাণিজ্য জগতে (Industry)। কে বলে ব্যবসা-বাণিজ্যে একচেটিয়া পুরুষেরই আধিপত্য? সম্প্রতি কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে BIMSTEC দেশের মহিলা শিল্পপতিদের নিয়ে এক সেমিনার হয়ে গেল। সেখানেই সকলে শোনালেন নিজেদের সাফল্য কাহিনি। আর বোঝালেন, ঘরের লক্ষ্মীরা চাইলে হয়ে উঠতেই পারেন ব্যবসায়িক মহলেও ‘লক্ষ্মী’।
BIMSTEC দেশ ৭টি – ভারত, মায়ানমার, বাংলাদেশ, ভুটান, তাইওয়ান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল। গত সপ্তাহে এই দেশগুলির মহিলা শিল্পপতিরা এসেছিলেন কলকাতায় (Kolkata)। ছিলেন ভারতের শিল্পপতিরাও। ‘উইমেন ইন বিজনেস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠিত ফ্যাশন ডিজাইনার থেকে শুরু করে সাংবাদিকতা জগতের প্রথিতযশা মহিলা, যাঁরা একটু অন্যপথে কেরিয়ার বেছে নিয়ে সাফল্যের শীর্ষ ধাপে পা রেখেছেন, তাঁরা সকলে হাজির ছিলেন। সকলেই জোর দিলেন আন্তরিক ইচ্ছাশক্তির দিকে। অর্থাৎ মন থেকে চাইলে যে কাজেই সাফল্য (Success) যে বাঁধা, সেটাই ছিল তাঁদের বক্তব্য মূলমন্ত্র। তথাকথিত ভারী ভারী বাণিজ্যিক শব্দকোষের আড়ালে কীভাবে লুকিয়ে নিজেদের উদ্বুদ্ধ করার বার্তা, স্পষ্ট করলেন তা। রবিবার বিশ্রাম ভাল তবে সোমবার কাজ করতে যাওয়া আরও সুখকর – এমনই বললেন মহিলা শিল্পপতিদের অনেকে। তাঁদের মতে, সাফল্যের মূল চাবিকাঠি PHD অর্থাৎ নিষ্ঠা (Passion), অধ্যাবসায়, পরিশ্রম (Hard Work), শৃঙ্খলাপরায়ণতা (Discipline)।
[আরও পড়ুন: লরির ধাক্কায় ভাঙল রথের চাকা, প্রতিবাদে দাসপুরে রাজ্য সড়ক অবরোধ, জ্বলল টায়ার]
স্বনামধন্যা নারী শিল্পপতিদের মধ্যে এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন উডল্যান্ডস হাসপাতালের এমডি ও CEO রুপালি বসু, ফ্যাশন ডিজাইনার কিরণ উত্তম ঘোষ, ইমামি গ্রুপের ডিরেক্টর প্রীতি সুরেখা, এলএসজি গ্রুপের সভাপতি ভাবনা আগরওয়াল-সহ বেশ কয়েকজন। এছাড়া বাংলাদেশের বণিক সভার প্রতিষ্ঠাতা সেলিমা আহমেদ, নেপালের বণিক সভার মহিলা সংগঠনের ছায়া শর্মা, ভুটানের গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের তরফে ছিলেন পুষ্পা ছেত্রী। তাঁদের কাছ থেকে একটা বিকেলে পেপ-টক পেয়ে যে সব মহিলারা কেরিয়ার নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তাঁরা হয়ত ভাবছেন, এবার বিনিয়োগে নজর দিলে হয়।