সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকালেই 'টেক্কা'র টিজার প্রকাশ্যে এনে বিগ ফ্রাইডে চমক দিয়েছেন দেব। এবছরের পুজো রিলিজ সেই ছবি। পুজোর (Celebrity Der Durga Puja) বক্স অফিসে যে এই সিনেমা সাড়া ফেলে দেবে, তা ঝলক দেখেই বেশ বোঝা গেল। দেব নিজে 'টেক্কা'র প্রযোজক তথা মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন। শুক্রবার টিজার লঞ্চের অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কলকাতার এক বিলাসবহুল মলে উপস্থিত ছিলেন দেব। সেখানেই দুর্গোৎসব নিয়ে মুখ বাংলার 'সুপারস্টার' সাংসদ।
যে মাটিতে মায়ের চিন্ময়ীরূপ পূজিত, সেই মাটিতেই মৃণ্ময়ীরা নির্যাতিত। ভূলুন্ঠিত তাঁদের সম্মান। নারীশক্তির আরাধনা করা ‘সভ্যতা’র হাতেই নারীরা লাঞ্ছিত। সেই আবহে দুর্গাপুজো করা কতটা যুক্তিসঙ্গত? প্রশ্নে দ্বিখণ্ডিত সমাজ। তবে এই উৎসবের উপরই যে সারাবছর বহু মানুষ তাকিয়ে থাকেন, শুধু দুবেলার দুমুঠো অন্ন জোগাড় করার জন্য, সেটাও অজানা নয় কারও। সেই প্রসঙ্গ টেনেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দেব বলেন,
“উৎসব হল মানুষকে একত্রিত করার জন্য। মানুষের মনে প্রতিবাদ থাকলে, সেটাও উৎসবের মাধ্যমেই পরস্পরের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায়। উৎসব মানে এই নয় যে, কাউকে প্রতিবাদ করতে আটকানো হচ্ছে। কিন্তু আমাদেরও তো কাজ করতে হবে। সকলেই তো রোজ চাকরি করতে যাচ্ছেন। কত মানুষের রুজিরুটি জড়িয়ে এই দুর্গাপুজোর সঙ্গে। আমাদের কাছে পাঁচ দিনের খরচ মনে হলেও কিছু মানুষের সংসার চলে এই পাঁচ দিনের রোজগারে। তাই বাংলার মানুষের মুখ চেয়েই পুজো হোক। মানুষের বিরুদ্ধে তো যেতে পারব না। একটা বিচার পাওয়ার জন্য বাংলার বাকি মানুষের সঙ্গে অবিচার করা উচিত নয়", বলেই জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘খেলা শুরু!’, ‘টেক্কা’র ঝলকে সিস্টেম-সমাজের ভিত নড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ‘কমন ম্যান’ দেবের]
অন্যান্যবারের তুলনায় এবার পুজোর প্রস্তুতি ম্লান। কিন্তু তাই বলে এক মেয়ের বিচার চেয়ে অন্য মা-মেয়েদের সংসারে ‘শূন্য হাড়ি’ থাকা কখনোই যুক্তিযুক্ত নয়। মেয়েরাও যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোলের সন্তান নিয়ে তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে পতে নামতে পারে কিংবা অশীতিপর, নবতিপর বৃদ্ধারা যখন হাতে মোম নিয়ে হাঁটেন, সেই চিত্রই বলে দেয় বাংলার নবজাগরণের কথা। নারীরা গর্জে উঠেছেন তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের দাবিতে। সেই আবহেই পুজোর চারদিন দুস্থ মানুষদের অর্থনীতির জোগান দেওয়াটাও এই সমাজেরই কর্তব্য। মায়ের আগমনে দুস্থদের ফাঁকা পকেটে লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকে। কিন্তু মন খারাপের ভিড়ে এমন উৎসবের আমেজে মেতে উঠতে অনেকেই নারাজ। এবার সেই আবহেই দুস্থ মানুষদের পেটের কথা চিন্তা করে বড় বার্তা দিলেন অভিনেতা-প্রযোজক তথা সাংসদ। দেব এও বলেন যে, "আর জি কর ঘটনার সমাধান নবান্ন ঘেরাও করে হবে না। দেশের আইনে বদল আনতে হবে। মানুষ যাতে এমন ঘটনা ঘটাতে ভয় পায়, তেমন কিছু করতে হবে।"