সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো আসতে আর একমাসও বাকি নেই। ইতিমধ্যেই শহর জুড়ে পুজোর আমেজ। তুমুল ব্যস্ততায় সেজে উঠছে গোটা শহর। মেঘলা দিন কাটিয়ে এখন ঝকঝকে রোদে তিলোত্তমার চকচকে রূপ। আর মনের কোণে? হ্য়াঁ, নেটপাড়ায় জনপ্রিয় ইউটিউবার 'ওয়ান্ডার মুন্না' ওরফে ইন্দ্রাণী বিশ্বাসের মনে কিন্তু ভিড় করেছে নানা অনুভূতি। শহরে পুজো পুজো ভাব থাকলেও, ইন্দ্রাণীর মন অনেকটাই বিচলিত। শহর জুড়ে যে প্রতিবাদ, যে সুবিচারের ডাক, সেই আবহে ইন্দ্রাণীর মনও একটু ভারী। তাই অন্যবারের তুলনায় ইন্দ্রাণীর এবারের পুজোটা (Celebrity Der Durga Puja) অনেকটাই অন্যরকম।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের কাছে সেই অনুভূতিই শেয়ার করলেন ইন্দ্রাণী। ইন্দ্রাণীর কথায়, ''খুব মিক্সড ফিলিং। প্রতিবার যেমন পুজো আসার আগে একটা আলাদা আনন্দ হয়, সেটা নেই। শুধু মনে হচ্ছে, কিছু একটা মিসিং। আমি ঠিক ভাষায় বোঝাতে পারব না। শুধু মনে হচ্ছে, এতদিন যে সব জিনিস আমরা অবহেলা করে এসেছি। এখন সেগুলোর দিকে তাকাচ্ছি। সেসব নিয়ে আমরা প্রশ্ন করছি। নারী সুরক্ষা, বিচার ব্যবস্থা। এই প্রতিবাদের মধ্যে দিয়েই তো সব সামনে আসছে। এই গত কয়েকমাসে আমরা যা যা দেখলাম, সেগুলো তো এতদিন অদেখা করে রাখতাম। এসব নিয়ে আগে কথাও হত না, ভাবাও হত না। সেদিক থেকে দেখলে এবারের পুজোতে আমাদের মনের মধ্যে তো এই প্রশ্নগুলোও থাকবেই। পুজোর আনন্দের সঙ্গে এগুলোও যেন জড়িয়ে গিয়েছে। পুজো এসেছে বলে যে সব উবে গিয়ে প্রতিবাদ, প্রশ্ন করা বন্ধ হয়ে যাবে, তা তো নয়! তাই পুজোর সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদও চলবে। ''
তবে ইন্দ্রাণীর কথায়, পুজো আসলে ছোটবেলার কথা মনে পড়তে বাধ্য। বিশেষ করে ছোটবেলায় যখন ইন্দ্রাণীর মা তাঁকে ষষ্ঠী থেকে দশমীর পোশাক বেছে দিতেন, সেটা আজ খুব মিস করেন তিনি। কেননা, এখন সেসব আর হয় না। ইন্দ্রাণীর কথায়, ''ছোটবেলায় মা পুজোর শপিং করার পরই ঠিক করে দিত, কোনদিন কোনটা পরব। এখন তো একমাস আগে থেকেই আমি নিজেই ঠিক করে ফেলি। সেই অনুভূতিটা মিস করি। আর সত্যি বলতে, যতই নেটপাড়ায় ওয়ান্ডার মুন্না হই না কেন, পুজোর সময়, প্যান্ডেল হপিংয়ের সময় আমি আদ্যপান্ত ইন্দ্রাণী। আর সেভাবেই থাকতে ভালোবাসি।''
মা দুর্গার কাছে এবার পুজোয় কী চাইবেন ওয়ান্ডার মুন্না? ইন্দ্রাণীর সোজা উত্তর, ''আরও ভালো যেন কাজ করতে পারি। আরও আরও মানুষ যেন আমাকে ভালোবাসে। আর হ্য়াঁ, প্রচুর ঘুরতে চাই। নতুন নতুন জায়গা দেখতে চাই। তাই মায়ের কাছে চাইব, ঘোরার সুযোগ করে দিও।''