সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ গেম মোমো নিয়ে সাবধানবাণী ও নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র সরকার। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে অভিভাবকদের উদ্দেশে একটি বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় সন্তানদের সোশ্যাল মিডিয়া গতিবিধির উপর যেন নজর রাখা হয়।
[শাসকদলের তাবেদারি করছে প্রশাসন, অভিযোগে ‘অর্ধনগ্ন’ প্রতিবাদ বিজেপি-র]
শুধু সতর্কবার্তাই নয়, এদিন মন্ত্রকের তরফে একটি বিস্তারিত তালিকা বের করা হয়। সেখানে মোমো গেমের ফাঁদে আক্রান্তদের চেনার উপায় দেওয়া রয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ দেখেই বোঝা যাবে মোমোর হানা। তবে অভিভাবিকদের অতি তৎপর হতে নিষেধ করা হয়েছে। সন্তানকে মোমো গেম নিয়ে সতর্ক করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কিশোর মনে জাগতে পারে প্রশ্ন। ফলে ইন্টারনেটে মোমো নিয়ে খোঁজ চালানোর সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন সন্তান মোমোর ফাঁদে পড়েছে?
সন্তানের মোবাইলে হানা দিয়েছে মোমো, কয়েকটি লক্ষণেই তা বোঝা যাবে। যেমন হঠাৎ করে অচেনা ও বিদেশি নম্বর থেকে একাধিক কল আসা। ফোনবুকে অচেনা নম্বর থাকা। গভীর রাত অবধি মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকা। হঠাৎ করেই একা থাকার ইচ্ছা। আত্মীয়, বন্ধুদের এড়িয়ে চলা। নিজের সন্তানের মধ্যে এই লক্ষণ দেখলেই বুঝতে হবে ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছে সে। তাই মন্ত্রকের পরামর্শ, মোবাইলে ‘পেরেন্টাল সফটওয়্যার’ ব্যবহার করুন অভিভাবকরা। এতে নেটদুনিয়ার বিপদ থেকে আত্মরক্ষা করা সহজ হয়ে পড়ে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও হানা দিয়েছে মারণ মোমো। এই বিষয়ে সতর্ক প্রশাসন। ‘মোমো’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এটিই মূল পদ্ধতি বলে অভিমত সাইবার বিশেষজ্ঞদের। একই সঙ্গে ‘ব্লু হোয়েল’-এর পর ‘মোমো’কে আটকাতে এবার সচেতনতার প্রচারের পরিকল্পনা করছে পুলিশও। পুলিশের পরামর্শ, মোবাইলে ‘মোমো’ হানা দিলেই যেন সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষয়টি জানানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে যেন ব্লক করে দেওয়া হয় ‘মোমো’-র নম্বর। সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানান, অন্তত পাঁচ রকমের ‘পেরেন্টাল কন্ট্রোল সফটওয়্যার’ রয়েছে। অনলাইনে বালক-বালিকা বা কিশোর কিশোরীদের কাছে অযাচিত কিছু পাঠালে তা রোধ করে এই ‘সফটওয়্যার’। এই ‘সফটওয়্যার’গুলি ডাউনলোড করে অভিভাবকরা ‘মোমো’কে আটকানোর চেষ্টা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ ও পুলিশ।
[ধূমপানের প্রলোভন দেখিয়ে বৃদ্ধকে খুন করে গয়না ছিনতাই, পলাতক যুবক]
The post কীভাবে বুঝবেন মারণ মোমোয় আসক্ত আপনার সন্তান? appeared first on Sangbad Pratidin.