shono
Advertisement

আশার আলো, ২ দিন পরই চার রাজ্যে কোভিড ভ্যাকসিন যুদ্ধের ‘ড্রাই রান’

টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো, স্বাস্থ‌্য আধিকারিক ও কর্মীরা প্রস্তুত কিনা খতিয়ে দেখতে মহড়ার ব‌্যবস্থা।
Posted: 08:46 AM Dec 26, 2020Updated: 09:58 AM Dec 26, 2020

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: অবশেষে আশার আলো। আগামী সপ্তাহে দেশের চার প্রান্তের চার রাজ্যে হবে কোভিড ভ‌্যাকসিন (Vaccine) দেওয়ার মহড়া। পাঞ্জাব, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাটের দু’টি করে জেলায় ‘ড্রাই রান’ করে গোটা দেশে টিকাকরণের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নেওয়া হবে। ভারতের মতো বড় দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি একটি ব‌্যাপক দক্ষতার পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় সফল হতেই এত সতর্কতা। প্রতিটি জায়গায় টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো ঠিকঠাক আছে কিনা, স্বাস্থ‌্য আধিকারিক ও কর্মীরা ঠিকমতো প্রস্তুত কিনা ইত‌্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখতেই ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর এই মহড়ার ব‌্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিতে চার প্রান্তের চারটি রাজ‌্য বেছে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব (Punjab), অসম (Assam), অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) ও গুজরাট (Gujrat) সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। ঠিক হয়েছে, জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হবে টিকাকরণের এই মহড়া কর্মসূচি। কোল্ড স্টোরেজ থেকে টিকা প্রাপককের কাছে সঠিকভাবে টিকা পৌঁছতে পারছে কিনা, তা এই মহড়ায় দেখা হবে। আগামী সপ্তাহের মহড়ায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে টিকাকরণের পর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা, তা লক্ষ্য‌ রাখা। টিকাকরণের নথিভুক্ত করার কো-উইন অ‌্যাপ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় ঠিক রয়েছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা। টিকা সংরক্ষণ পদ্ধতি ও এক জায়গা থেকে অন‌্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা। টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড় সামাল দেওয়া ইত‌্যাদি।

[আরও পড়ুন: রাজধানী দিল্লিতে মাস্ক তৈরির কারখানায় ভয়াবহ আগুন, মৃত ১]

এই মহড়া শুরু করার অনেক আগে থেকেই অবশ‌্য চলেছে সলতে পাকানোর কাজ। প্রায় সাত হাজার কর্মীকে ইতিমধ্যে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। যার জন‌্য দু’হাজার ৩৬০টি সেশন আয়োজন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ‌্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, জানুয়ারির যে কোনও সপ্তাহে শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। আপাতত তিন কোটি স্বাস্থ‌্যকর্মী (Health Worker) ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের টিকাকরণ করার পর আগামী ছ’-সাত মাসের মধ্যে দেশজুড়ে আরও ২৭ কোটি মানুষকে টিকা দিতে আশাবাদী কেন্দ্র। উল্লেখ‌্য, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা কিংবা অগ্নিনির্বাপক ব‌্যবস্থা ঠিক রয়েছে কিনা ঝালিয়ে নিতে মাঝেমধ্যেই ব‌্যস্ত জায়গায় সেনা, আধাসামরিক বাহিনী ও দমকল এই ধরনের মহড়া করে থাকে, যাকে মক ড্রিল বলা হয়ে থাকে। টিকাকরণ কর্মসূচির প্রস্তুতিতে সেই ধরনের মহড়াই (Mock Drill) হবে।

[আরও পড়ুন: ‘‌নতুন স্মার্টফোন না পেলে বিয়েই নয়!’, যুবকের আবদারের কী পরিণতি হল জানেন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement