সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) হলফনামায় রোহিঙ্গা দায় ঝেড়ে ফেলল কেন্দ্র। মোদি সরকারের তরফে সাফ জানানো হল, উন্নয়নশীল এবং জনবহুল দেশ হিসেবে নিজেদের নাগরিকদের দেখভালকেই অগ্রাধিকার দেবে ভারত। এইসঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের (Rohingya Refuge) অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং এদেশে অবস্থানকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক বলল কেন্দ্র।
বিদেশি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করা হয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। তাদের মুক্তির দাবিতে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আদালতের নির্দেশে এই বিষয়ে হলফনামা দিয়েছে কেন্দ্র। সেখানেই দেশের নাগরিকদের অগ্রাধিকারের কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে জাতিহিংসার ঘটনায় পালিয়ে ভারত, বাংলাদেশ-সহ একাধিক দেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়। দেশে CAA কার্যকর হওয়ার পরে নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক দান বেঁধেছে।
[আরও পড়ুন: ‘মোদিতে হচ্ছে না, ঠাকরে চুরি করছে…’ রাজ-শাহ বৈঠকের পরই বিজেপিকে খোঁচা উদ্ধবের]
CAA -তে স্পষ্ট করা হয়েছে, ২০১৫ সালের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে নির্যাতিত অমুসলিম সম্প্রদায়কেই নাগরিকত্ব দেবে ভারত। CAA-এর বাস্তবায়ন নিয়ে বিরোধীরা একাংশ জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছে। পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রশ্ন তুলেছেন, কেন বিরোধী নেতারা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের বিরোধিতা করছেন না।
কেন্দ্রের হলফনামায় বলা হয়েছে, 'একজন বিদেশী শুধুমাত্র সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদের অধীনে জীবন এবং মানবিক স্বাধীনতার অধিকার উপভোগ করতে পারেন। কিন্তু ভারতে বসবাস বা বসতি স্থাপনের মৌলিক অধিকার দাবি করতে পারেন না। এই অধিকার রয়েছে শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদেরই।'
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম-তলবে টনক নড়ল, ‘বিভ্রান্তিকর’ বিজ্ঞাপনের জন্য ক্ষমা চাইলেন রামদেব-সহযোগী]
কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী ভারতে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশ করেছে। এই পরিসংখ্যান ২০১৭ সালের। মোদি সরকারের দাবি গত দুই বছরে চার গুণ বেড়েছে জনসংখ্যা। উল্লেখ্য, কেন্দ্র রোহিঙ্গা মুসলিমদের কখনই শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি, বরং অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলেছে।