গৌতম ব্রহ্ম: কেন্দ্রীয় বকেয়া নিয়ে বারবার সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। শাসকদলও একইভাবে অভিযোগ তুলেছে, বকেয়া টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। পঞ্চায়েত ভোটের (WB Panchayet Election) আগে কেন্দ্রের টাকা না পাওয়া নিয়ে অসন্তোষের আঁচ বেড়েছে। তবে এবার কেন্দ্রের বকেয়া টাকা পাওয়া নিয়ে আশার আলো দেখা গেল। সোমবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তেমনই ইঙ্গিত দলেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্ভবত চলতি সপ্তাহে জোড়া প্রকল্পের টাকা পেতে চলেছে রাজ্য।
আবাস ও সড়ক যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্রের থেকে যে টাকা এখনও বকেয়া, তা চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের হাতে আসতে পারে। আর তারপর ১০০ দিনের কাজের মোটা অঙ্কের টাকাও দিতে পারে কেন্দ্র। গত সপ্তাহে দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) সঙ্গে হিসেবনিকেশ নিয়ে কথা বলেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে তিনি বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘পর্ষদের প্রকাশ করা নয়’, ২০১৪ টেট তালিকায় রাজনীতিকদের নাম নিয়ে দাবি পর্ষদ সভাপতির]
মনরেগা প্রকল্পের (MGNREGA) কাজে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান বাংলার। এখানে একটি কর্মদিবসও নষ্ট হয়নি। পঞ্চায়েতের সমস্ত স্তরে ১০০ দিনের কাজে এলাকার উন্নয়ন হয়েছে ভালই। প্রত্যেক কর্মপ্রার্থীই কাজ পেয়েছেন। সবমিলিয়ে এই কাজে রাজ্যের সাফল্য নজরকাড়া। কেন্দ্রের তরফেই সেই স্বীকৃতি মিলেছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের অভিযোগ, তারপরও বকেয়া টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। এমনকী আর্থিক জোগানে টান পড়ায় ঠিকমতো এই কাজ দেওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ। বাধ্য হয়েই ১০০ দিনের কাজ করা কর্মীকে অন্যান্য কাজ দিতে হচ্ছে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘অখিল অন্যায় করেছে, দলের তরফে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি’, রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী]
এদিকে, এই টাকা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত ঘিরে পঞ্চায়েতে ভোটে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টায় ছিল গেরুয়া ব্রিগেড। সোমবারও ১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাই কোর্টে (Calcutta HC) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অভিযোগ অনেক। তথ্যে কারচুপি করা হচ্ছে। টেন্ডার না হওয়া তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। এলাকার জনসংখ্যার থেকে বেশি জব কার্ড হোল্ডারের সংখ্যা। CAG-কে দিয়ে অডিট এবং সিবিআই তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে মামলায়। চলতি সপ্তাহের শুনানির সম্ভাবনা প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে। তবে এনিয়ে আইনের দ্বারস্থ হলেও রাজনৈতিক দিকে থেকে চাপে পড়ছে বিজেপি নিজেই। তা এড়াতেইউ সেই কারণেই টাকা দিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।