সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (PFI) এবার জঙ্গি গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত করতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, ইউএপিএ (UAPA) আইনের আওতায় এনে নিষিদ্ধ করা হতে পারে এই সংগঠনটিকে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই দেশজুড়ে পিএফআইয়ের নানা দপ্তরে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সংগঠনের নানা কাগজপত্র থেকে জানা গিয়েছিল, গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যেও এগোচ্ছিল তারা।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আপাতত ইউএপিএ আইনকে কাজে লাগানোর সবরকম চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আইনের নানা ফাঁকফোকর খতিয়ে দেখে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে চাইছে কেন্দ্র। পিএফআইকে নিষিদ্ধ করার পরে যেন কোনওভাবেই আইনের ধারা উল্লেখ করে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে না পারে। পিএফআইকে নিষিদ্ধ করার পরে যদি আইনি লড়াইয়ে যেতে হয়, সেরকম প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা হচ্ছে সরকারের তরফে।
[আরও পড়ুন: বর্বর ঘটনা ঝাড়খণ্ডে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়র সামনেই গণধর্ষিতা তরুণী]
প্রসঙ্গত, গত ২২ সেপ্টেম্বর অন্তত ১৫টি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পিএফআইয়ের ডেরায় তল্লাশি চালায় এনআইএ (NIA) ও ইডি (ED)। তল্লাশি চলাকালীনই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সম্ভবত সেখানেই এই মৌলবাদী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম কী হবে,তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।
পিএফআইকে যদি জঙ্গি গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত করা হয়, তাহলে আল কায়দা,জইশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠনের সঙ্গে একাসনে বসে যাবে এই সংগঠন। ইতিমধ্যেই কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, গোটা দেশে পিএফআই ও এসডিপিআই-কে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্ণাটক ছাড়াও দেশের অন্যান্য জায়গায় একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সংগঠনটির। এদের কুকীর্তির কথা সবাই জানে। কোন জায়গা থেকে তাদের কাছে এতো টাকা আসছে। কারা রয়েছে এই সংগঠনের নেপথ্যে। সেসব জানতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।”