সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্মাণ ক্ষেত্রে বড়সড় আইনি বদল আনার পথে কেন্দ্র। কোনও বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে যদি নির্মাণপর্বে দেউলিয়াও হয়ে যান নির্মাতা ব্যক্তি বা সংস্থা, তাহলেও তার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে না ক্রেতাদের। নিয়ম বদল করে এই পথেই হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র।
গত কয়েক দশকে দেশে যেমন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফ্ল্যাটের সংখ্যা, অর্থাৎ বহুতল আবাসন। স্ট্যান্ড অ্যালোন কিংবা কমপ্লেক্স, যে ভাবেই দেখা যাক না কেন, এক খণ্ড জমির উপর বহুতল বানিয়েই একসঙ্গে বহু মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়ে ওঠে আবাসনগুলি। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কাজ শুরু হওয়ার পর এবং ক্রেতাদের থেকে বড় অঙ্কের অর্থ আগাম নিয়ে নেওয়ার পরও থমকে থাকে আবাসনগুলির কাজ। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বছরের পর বছর এই কাজ থমকে থাকে। এর কারণ হিসাবে নিজেদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা এবং নির্মাতা ব্যক্তি ও সংস্থার নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার ঘটনাও দেখা যায়।
[আরও পড়ুন: শীতের রাতে উদ্ধার পরিত্যক্ত শিশু, বুকের দুধ খাইয়ে সুস্থ করলেন পুলিশ কর্তার স্ত্রী]
এই ধরনের ঘটনায় সব থেকে বেশি ভুগতে হয় ক্রেতাকে। তাঁদের বড় অঙ্কের অগ্রিম অর্থ যেমন আটকে থাকে তেমনই নতুন বাড়ির মালিকানা হাতে পাওয়াও পড়ে থাকে বিশ বাঁও জলে। তবে নতুন নিয়ম কার্যকর হলে তা অনেকটাই যাবে ক্রেতাদের পক্ষে। কারণ নিজেকে বা সংস্থাকে দেউলিয়া ঘোষণা করেও ছাড় পাবেন না নির্মাতারা। দেশের ‘ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপসি কোড’ বদল করে প্রতিটি প্রকল্পের জন্যই আলাদা বিধিতে সমাধানের পথ খুঁজতে বাধ্য করা হবে নির্মাতাদের। এমনকী কোনও আইনি জটিলতার কারণেও চলতি কোনও প্রকল্পের কাজ থামিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।
বর্তমান আইনে আবাসন নির্মাতা যে কোনও কারণে কাজ থামিয়ে দিতে বাধ্য হলেও তার প্রভাব ভোগ করেন ক্রেতারাই। গত তিন বছরের করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারি নথি অনুযায়ী অন্তত ১৯৯৯টি এই ধরনের ঘটনা অমীমাংসিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতেই এই পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র।