shono
Advertisement

নাম নাপসন্দ! এবার শিশুসাথী প্রকল্পে বাংলার অর্থ বন্ধ করল দিল্লি

অবস্থা সামাল দিতে অস্ত্রোপচার চালু রাখতে নবান্ন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে খবর।
Posted: 12:34 PM Feb 05, 2024Updated: 12:34 PM Feb 05, 2024

স্টাফ রিপোর্টার: নাম নাপসন্দ! সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পর শিশুসাথী প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার শিশুর জন্মগত হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসার প্রাপ্য অর্থ বন্ধ করল দিল্লি! স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এহেন অবস্থানের ফলে শিশুসাথী প্রকল্পে অসুস্থ শিশুদের হার্টের চিকিৎসা নিয়ে তীব্র সংশয় সৃষ্টি হয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। জরুরি ভিত্তিতে অবস্থা সামাল দিতে অস্ত্রোপচার চালু রাখতে নবান্ন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে খবর। স্বাস্থ্য দপ্তর শিশুদের চিকিৎসার জন্য আর দিল্লির ভরসায় না থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সঙ্গে শিশুসাথীকে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নবান্নের খবর, অর্থ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে।

Advertisement

হকের টাকা চেয়ে স্বাস্থ্য ভবন দিল্লিকে কয়েকদফা চিঠি দিয়েছে। কিন্তু বরফ গলেনি। সাফ জানানো হয়েছে, ‘শিশুসাথী’র বদলে ‘রাষ্ট্রীয় বাল সুরক্ষা কার্যক্রম’ ব্র্যান্ডে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। অন্যথায় প্রকল্পের ৬০ ভাগ টাকা বন্ধ থাকবে। এমনকী বিগত অর্থবর্ষে এই খাতে যত শিশুর চিকিৎসা হয়েছে তাও ‘রাষ্টীয় বাল সুরক্ষা কার্যক্রম’ হেডে নতুন করে পাঠাতে হবে। অন্যথায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্য বকেয়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিস্ময়কর ঘটনা হল, স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে আলোচনার সময় কেন্দ্রের আমলারা জানিয়েছেন সব বুঝতে পেরেও তারা নিরুপায়। উপরমহলের নির্দেশ অবহিত করাই তাঁদের কাজ। জন্মগত হৃদযন্ত্রের ত্রুটি নিয়ে জন্মানো শিশুর বয়স ১-১৮ বছর হলেই হার্ট অপারেশন করে ভালভ মেরামত করতে হয়। আবার অনেক শিশুর হৃদযন্ত্রে ফুটো বা অপরিণত থাকে তাঁদের ও অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসা করতে হয়।

[আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে রিয়াল কাশ্মীরের কাছে পরাস্ত মহামেডান, হেরেও শীর্ষে সাদা-কালো ব্রিগেড]

শিশুদের হৃদযন্ত্রের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রক ২০১৩ সালে ‘রাষ্টীয় বাল সুরক্ষা কার্যক্রম’ চালু করে। একই বছরে রাজ্য সরকার শুরু করে ‘শিশুসাথী’ প্রকল্প। স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা জানান, ‘‘স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হয় প্রকল্পের ৬০ ভাগ অর্থ বহন করবে দিল্লি। বাকি অর্থ রাজ্যগুলি দেবে। শিশুদের হার্ট অপারেশনের জন্য দক্ষ সিটিভিএস (কার্ডিওথোরাসিক অ‌্যান্ড ভাসকুলার সার্জন) যথেষ্ট থাকলেও অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটারের ঘাটতি আছে। তাই স্বাস্থ্য দপ্তর কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে পিপিপি মডেলে চালু করেছে। এক শীর্ষকর্তার কথায়, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সঙ্গে শিশুসাথীকে যুক্ত করলে জেলার শিশুদের চিকিৎসার জন্য আর আটটি সরকারি ও মুষ্টিমেয় বেসরকারি হাসপাতালে ছুটে আসতে হবে না, যেকোনও বেসরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সম্ভব হবে।

গত দশ বছরে প্রায় ২৮ হাজার শিশুর চিকিৎসা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে রেকর্ড। এর পর মহারাষ্ট্র দ্বিতীয় এবং পাঞ্জাব তৃতীয়। এনআরএস, এসএসকেএম, আরজিকর-সহ আট সরকারি হাসপাতালে শিশুসাথী প্রকল্পে বছরে গড়ে তিন হাজার শিশুর হার্ট অস্ত্রোপচার হয়। এমনকী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সব খরচও রাজ্য বহন করে। তথ্য বলছে চলতি অর্থ বছরে অন্তত সাড়ে তিন হাজার বাবা-মা অপেক্ষায় আছেন সন্তানের হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যার অস্ত্রোপচারের জন্য। এই সময় দিল্লির অমানবিক অনড় অবস্থানে রীতিমতো বিস্মিত রাজ্য প্রশাসন।

[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্টের আগে সতর্ক করা হয়েছিল গিলকে, ফর্মে ফিরতে খেলতে হত রনজি!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement