সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সফল হল কৃষকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন। বিতর্কিত কৃষি আইন (Farm Law) প্রত্যাহার করল কেন্দ্র। গুরুনানকের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করলেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এই আইন প্রত্যাহার করা হবে।
যদিও শুক্রবারের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, “আমি যা করেছিলাম, সবটাই করেছিলাম কৃষকদের জন্য, দেশের জন্যে।” এরপরই ঘোষণা করেন, “সংসদের আগামী অধিবেশনে কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে ২৯ নভেম্বরে। চলবে প্রায় এক মাস ধরে। শীতকালীন অধিবেশনের সমাপ্তির দিন হল ২৩ ডিসেম্বর। প্রশ্ন হল, ঠিক কীভাবে প্রত্যাহার করা হবে কৃষি আইন ? ভারতে কোনও আইন প্রত্যাহার করা হয় কী প্রক্রিয়ায়?
[আরও পড়ুন: এখনই আন্দোলন থামছে না, কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরও অনড় কৃষকরা]
এই বিষয়ে আইনজ্ঞদের বক্তব্য, যে কোনও আইন যেভাবে প্রণয়ন করা হয়, একই পদ্ধতিতে প্রত্যাহার করা হয়ে থাকে। ফলে আইন প্রণয়ন যেভাবে হয়েছিল সেভাবেই আইন প্রত্যাহারের বিলটিকে সংসদে পেশ করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে। এরপর সংসদে এই বিষয়ে ভোটাভুটি হবে। গোটা প্রক্রিয়ায় কতদিন সময় লাগবে তা নির্ভর করে বিলটিকে নিয়ে রাজনীতির উপর। অর্থাৎ কিনা যদি বিরোধীরা সংসদকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দেয় তবে দ্রুত আইন প্রত্যাহার হতেই পারে।
এর আগে আইন মন্ত্রকের কাছে আইন প্রত্যাহারের বিলটি পাঠাতে হবে কৃষি মন্ত্রককে। এরপর আইন মন্ত্রক এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। যে মন্ত্রকের বিল, সেই মন্ত্রকের মন্ত্রী (এক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রী) বিলটিকে সংসদে পেশ করবেন।
[আরও পড়ুন: অরুণাচলের চার কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে আস্ত গ্রাম বানিয়ে ফেলল চিন! অস্বস্তিতে কেন্দ্র]
গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি বিলে সংশোধন করে আইনে পরিণত করে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর থেকেই দেশজুড়ে বিতর্ক ও বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্তানে তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করেন সেখানকার কৃষকেরা। ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে দিল্লি সীমান্তে সংগঠিত আন্দোলন শুরু করেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের হাজার হাজার কৃষক। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় অনেকগুলি কৃষক সংগঠন। আন্দোলন চলাকালীন মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের।